|
|
|
|
মাওবাদীদের সন্ধি-প্রস্তাব নিয়ে জানতে চাইল কেন্দ্র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
মাওবাদীদের পাঠানো সন্ধি-প্রস্তাবে ঠিক কি বলা হয়েছে তা রাজ্য সরকারের কাছে জানতে চাইল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পাশাপাশি, বিষয়টি সম্পর্কে অত্যন্ত সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরকে যে চিঠি পাঠিয়েছে, তাতে মাওবাদীদের প্রস্তাব ও শর্ত সম্পর্কে নির্দিষ্ট ভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। মাওবাদীরা যে রাতারাতি এমন সন্ধি-প্রস্তাব রেখেছে, সে ব্যাপারে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মতি রয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তোলা হয়েছে। কারণ, অন্ধ্রপ্রদেশে রাজশেখর রেড্ডির সরকারের সময়েও মাওবাদীরা সন্ধিপ্রস্তাব রেখেছিল। তার ভিত্তিতে আলোচনাতেও বসা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সন্ধি-প্রস্তাবে যে মাওবাদী কেন্দ্রীয় কমিটির আদৌ কোনও সায় ছিল না, তা জানা যায় অনেক পরে। ফলে বেকায়দায় পড়ে রাজ্য সরকার। তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলেছে কেন্দ্র।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক কর্তা বলেছেন, “মাওবাদীরা যে সন্ধি প্রস্তাব দিয়েছে তা নিয়ে ভেবে দেখার আছে। ওদের প্রস্তাব যে আসলে কী, তা ভাল করে জানতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার কী ভাবছে সেটাও জানা দরকার। এ ব্যাপারে এখনই আমরা কোনও সিদ্ধান্তে আসতে চাই না।”
সম্প্রতি মাওবাদী নেতা আকাশ এবং মধ্যস্থতাকারী সুজাত ভদ্র ও ছোটন দাসের তরফে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিবৃতি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, রাজ্য সরকার যদি এক মাস যৌথ বাহিনীর অভিযান বন্ধ রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে, তা হলে মাওবাদীরাও এক মাস অস্ত্র সংবরণ করবে। কিন্তু ওই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সাদা কাগজে, সিপিআই(মাওবাদী)-র দলীয় প্যাডে নয়। সে দিনই রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা প্রশ্ন তুলেছিলেন বিবৃতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে। কারণ, ওই বিবৃতি যে মাওবাদী নেতারই সে সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়ার অবকাশ নেই। আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও বিবৃতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। তা ছাড়া, এক মাস অস্ত্র সংবরণের নামে মাওবাদীরা সময় কিনে নিজেদের সংগঠনকে জঙ্গলমহলে নতুন করে সাজিয়ে নিতে চাইছে কি না সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। মাওবাদীদের সন্ধি-প্রস্তাব আসার পর বিষয়টি নিয়ে কোনও বিবৃতি দিতে রাজি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়, এখনই ওই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। |
|
|
|
|
|