|
|
|
|
|
|
|
পুস্তক পরিচয় ৩... |
|
বুদ্ধি-বল কমিয়া যাইতেছে |
বইপোকা |
বাঙালি লেখকের বুদ্ধি-বল কি কমিয়া যাইতেছে? প্রশ্নটি গত কতিপয় দিবস বড় ভাবাইতেছে। না, পূজা উপলক্ষে এই কয়দিন আফিং বেশি খাই নাই। বিশেষ, আমার দুর্গোৎসবে আফিং বড় কুহক দেখায়, যাহা কখনও দেখিব না, তাহাই দেখায়। তদুপরি, মার্জারী এই কয়দিন আসে নাই, সুতরাং প্রসন্নর দুগ্ধে কেহ ভাগ বসাইতেছে না। অতএব ঠিক করিয়াছিলাম এ কয়দিন প্রসন্নর নির্জ্জল দুগ্ধই খাইব। তাহা খাইতে খাইতেই মনে প্রশ্ন জাগিল, বাঙালি লেখকের বুদ্ধি-বল কি কমিয়া যাইতেছে? না হইলে সেই যে সত্যজিৎ রায়ের মৃত্যুর পরে ফেলুদা চলিয়া গেলেন আর তেমন মনে রাখিবার মত গোয়েন্দা আসিল কই বাংলা সাহিত্যে? শিশুপাঠ্য কাহিনিতে পচামামা কিংবা ন্যাপাদা গোছের দুই-এক জনকে পাইলাম বটে, কিন্তু তাহারা নিছক জোলো। ক্ষুরধার ত দূর অস্ত্, তাঁহাদের বুদ্ধিই অনেকাংশে বিদেশি গল্পের গোয়েন্দার নিকট হইতে ধার করিতে হয়। ফলে এখন পুরাতনের নানা রূপের যুগ। সেই সবেধন নীলমণিগুলিকেই কমিকসে কিংবা নানা প্যাকেজে ফিরাইয়া আনিতেছেন প্রকাশকেরা। কিন্তু বাংলা গোয়েন্দা-সাহিত্যের ধারাটি এমন শুকাইয়া আসিল কেন? অপরাধের প্রকৃতিবৈচিত্র ক্রমেই বাড়িতেছে, সরকারি গোয়েন্দাবিভাগও রাতারাতি কিছু স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড হইয়া যায় নাই। তাই ভাবিতেছিলাম, বাঙালি লেখকের বুদ্ধি-বলই সম্ভবত কমিয়া আসিতেছে। প্রসন্নকে বলিব, আমাকে বঞ্চিত করিয়া নির্জ্জল দুগ্ধ লেখকদিগের উপকারার্থ ব্যবহার করিতে। তাহাতে বাংলা সাহিত্যের শ্রীবৃদ্ধি ঘটিবে। |
|
|
|
|
|