|
|
|
|
বিধি মেনেই নিরঞ্জন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
ষষ্ঠীর বোধন থেকে দশমীর ভোর পর্যন্ত ঘটনাহীন বহরমপুর শহরের উৎসবের মেজাজের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই প্রতিমা নিরঞ্জন চলছে। বহরমপুর শহরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলা ভাগীরথীর জলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে বির্সজন। বহরমপুর পুরসভা ও পুলিশের নির্দেশ মতো নিরঞ্জন চলবে আজ শনিবার রাত পর্যন্ত। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “প্রতিমা নিরঞ্জনের বিষয়ে বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করা হলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিকে আর্থিক জরিমানা দিতে হবে। তবে সুখবর এই যে, শুক্রবার একাদশীর রাত পর্যন্ত নিয়ম-বিধি লঙ্ঘন না করায় কোনও পুজো কমিটিকেই অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করতে হয়নি।”
ওই নিয়ম-বিধি অনুসারে, নিরঞ্জনের পর যত দ্রুত সম্ভব নদীর বুক থেকে বাঁশ ও কাঠের তৈরি প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলতে হবে। সেই সঙ্গে পুজো ও আরতিতে ব্যবহার করা ফুল, বেলপাতা, আমপাতা, কলাবৌ, ঘট, যজ্ঞের কাঠ-সহ পুজোর যাবতীয় উপকরণ নদীর জলে ফেলা যাবে না। পুরপ্রধান বলেন, “ওই সব উপকরণ ফেলার জন্য নদীর পাড়ে নির্দিষ্ট জায়গা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সেই জায়গায় উপকরণ ফেলতে বলা হয়েছে। পরে সেই সব উপকরণ পুরসভার গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়ে অন্য একটি এলাকায় শ্রদ্ধার সঙ্গে মাটির নীচে পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বারোয়ারি ও পারিবারিক মিলিয়ে মোট আড়াইশোরও বেশি পুজো হয় বহরমপুর শহরে।”
ওই ঘাটগুলির পাশ দিয়ে বয়ে চলা সড়কপথে রয়েছে উজ্জ্বল আলো। তবুও নিরঞ্জনের সময় নদীর বুকের আঁধার দূর করতে ভাগীরথীর পাড়ে ২০টি ঘাটেই জেনারেটরের ব্যবস্থা রয়েছে। পুলিশকর্মীরা ছাড়াও রয়েছেন পুরসভার নিয়োগ করা প্রতিটি ঘাটে ৪ জন হিসাবে মোট ৮০ জন কর্মী। তাঁরা যে সত্যিই নজর রাখছেন, তার প্রমাণ শুক্রবার একাদশীর দুপুরে শহরের দক্ষিণ প্রান্তের গোরাবাজার শ্মশানঘাট থেকে উত্তর প্রান্তের ফরাসডাঙা ঘাট পর্যন্ত ভাগীরথীর পাড় বরাবর প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থেকেই। বিষ্ণুপুর আমরা ক’জন পুজো কমিটির কর্তা বিশ্বতোষ পাণ্ডে ও অনামি ক্লাব পুজো কমিটির ভাস্কর বাজপেয়ি বলেন, “এ বারের নিরঞ্জনে ত্রুটিহীন সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে বিগত কয়েক বছর ধরে পুরসভার লাগাতার নজরদারি। আমরা পুজো কমিটির কর্তারাও পরিবেশ ও জল দূষণমুক্ত রাখতে সচেতন হয়েছি, অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি। এ বারের সাফল্য ওই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।” |
|
|
|
|
|