|
|
|
|
নতুন কার্যকরী সভাপতি |
লক্ষ্মণের বিতর্কিত মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শনে এমসিআই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়ায় সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠের সংস্থা পরিচালিত বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো পরিদর্শনে ফের এলেন মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) প্রতিনিধিরা। শুক্রবার এমসিআই প্রতিনিধিদের সঙ্গেই ছিলেন ডেন্টাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (ডিসিআই) প্রতিনিধিও। ডেন্টাল কলেজের পরিকাঠামোই মেডিক্যাল কলেজের বলে দেখানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সে কারণেই এ দিনের যৌথ পরিদর্শন বলে এমসিআই সূত্রের খবর।
এর আগে এক দফা পরিদর্শনের পরেই এমসিআই মেডিক্যালে ছাত্র-ভর্তির অনমুতি দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কলেজটির পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। পরিকাঠামো ছাড়াই মোটা টাকার বিনিময়ে ছাত্র-ভর্তি করে লক্ষ্মণবাবুরা স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করেছেন বলে শাসকদল তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বও অভিযোগ তোলেন। তাঁরা কলেজ চত্বরে লাগাতার আন্দোলনও করছেন। ইতিমধ্যে পরিকাঠামোর প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্ট ফের ওই কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়।
এ দিনের পরিদর্শক-দলের এক সদস্য জানান, আগের বারের সঙ্গে এ বারে কিছু ব্যাপার মিলছে না। সেই দিকগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরাও এই কলেজ পরিদর্শনে এসেছিলেন। কিন্তু কলেজ তালা-বন্ধ ছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষ পরিদর্শনে বাধা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তোলেন ওই প্রতিনিধিরা। এ দিন এমসিআইয়ের প্রতিনিধিরা অবশ্য কলেজে ঢুকতে পেরেছেন। হাজির ছিলেন লক্ষ্মণবাবু এবং তাঁর সংস্থার সম্পাদক আশিস লাহিড়ি। আগের দফায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের পরিদর্শন করতে না দেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে লক্ষ্মণবাবুদের পাল্টা দাবি, “ওঁরা তৃণমূলের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন।” এ দিন এমসিআইয়ের পরিদর্শন নিয়ে তাঁদের মন্তব্য, “আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সে দিনের প্রতিনিধিদলের অন্যতম সদস্য উচ্ছল ভদ্রের বক্তব্য, “চার বছর ধরে বেসরকারি ডেন্টাল কলেজটি চলছে। সেই চত্বরকেই যদি মেডিক্যাল কলেজ বলে চালানো হয়, তা হলে তার চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কী হতে পারে! সে দিন আমাদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এ দিন এমসিআই প্রতিনিধিরা যা দেখেছেন, তা তাঁরা জানাবেন। তাতেই স্পষ্ট হয়ে যাবে মেডিক্যাল কলেজ খোলার মতো পরিকাঠামো ওখানে আদৌ আছে কি না।” |
|
|
|
|
|