নতুন কার্যকরী সভাপতি
এ বার যুব তৃণমূলেও ‘পরিবর্তন’ পশ্চিমে
বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরে দলের জেলা সভাপতি-সহ নেতৃত্বের রদবদল ঘটানো হয়েছিল। এ বার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূল সংগঠনেও বদলের হাওয়া লাগল। যুব সংগঠনের জেলা সভাপতি হিসাবে দেবাশিস চৌধুরী রইলেন বটে কিন্তু কার্যকরী সভাপতি হিসাবে আনা হল শালবনির বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতোকে। খড়্গপুরের স্ক্র্যাপ মাফিয়া বাসব রামবাবুর কিছু মন্তব্যের জেরে সম্প্রতি দেবাশিসবাবুকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। খড়্গপুরে দলের একাংশের সঙ্গে তাঁর বনিবনা না হওয়া নিয়েও নানা জল্পনা চলছিল। তা ছাড়া দলের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক ‘মধুর নয়’ বলে তৃণমূল শিবিরেরই বক্তব্য। কার্যকরী সভাপতি হিসাবে শ্রীকান্তবাবুর অন্তর্ভুক্তি সংগঠনে দেবাশিসবাবুর নিয়ন্ত্রণও কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুব-সংগঠনে এই ‘রদবদল’ জেলায় দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ বদলেরও ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন তৃণমূল-ঘনিষ্ঠরা। কার্যকরী সভাপতি ছাড়াও মেদিনীপুর সদর ব্লকের যুবনেতা আলি আকবরকে যুব-তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এই রদবদল নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দেবাশিসবাবু। তাঁর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, “সংগঠনকে মজবুত করতেই এই পরিবর্তন।”
হলদিয়ায় এমসিআই-এর প্রতিনিধিদল
পাঁচটি ব্লকে নতুন সভাপতি নিয়োগ করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন অনিল দাস। এ বার তাঁকে সরিয়ে সভাপতি করা হল সুদর্শন ভট্টাচার্যকে। ঝাড়গ্রামে দল থেকে আগেই রমেশ সরকার, গৌরাঙ্গ প্রধানদের সরানো হয়েছিল। নেতৃত্বে এসেছেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা। এ বার যুব-নেতৃত্বেও পরিবর্তন ঘটনো হল। চন্দ্রকোনা-১ ব্লকের যুব-সভাপতি সুরজ প্রধানকে সরিয়ে সঞ্জয় রায়কে নতুন সভাপতি করা হল। সবংয়ের সভাপতি সমাপন বিত্তকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হল ঝন্টু মান্নাকে। এখানে পার্থপ্রতিম মাইতিকে আবার কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছে। বিনপুর-১ (লালগড়) ব্লকে যুব-সভাপতি করা হল তন্ময় রায়কে। শালবনি ব্লকের যুব-সভাপতি ছিলেন শ্রীকান্তবাবু। তিনি এখন বিধায়ক। তাঁকে জেলার কার্যকরী সভাপতি করে শালবনি ব্লক যুব-সভাপতি করা হল রবিলোচন মাহাতোকে। যুব-তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও কয়েকটি ব্লকেও পরিবর্তন আসন্ন। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মদত দেওয়া, সাধারণ মানুষের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, তোলাবাজির অভিযোগ উঠছিল সংগঠনের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে। এই কারণেই এই পরিবর্তন বলে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য। দলীয় সূত্রের ব্যাখ্যা, জেলা ও ব্লকস্তরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে চরম আকার নিচ্ছে, তা রাজ্য নেতৃত্বের অজানা ছিল না। অনেকেই নিজেদের নেতা বলে জাহির করে সংগঠনের নিয়মশৃঙ্খলা মানছে না। সেই সঙ্গে জোর-জুলুম, তোলাবাজিরও অভিযোগ আসছিল। সংগঠনকে চাঙ্গা করে লাগাতার রাজনৈতিক কর্মসূচি নিতে গেলে কড়া হাতে রাশ ধরার প্রয়োজন। তাই পুজোর রেশ না মেলাতেই দলের রাজ্য নেতৃত্ব সাংগঠনিক রদবদল ঘটালেন। জেলায় দলের এক নেতার মন্তব্য, “এই বদলে নেতা-কর্মীদের কাছে একটা বার্তা দেওয়া হল যে, সংগঠনই বড়। ব্যক্তি নয়। সংগঠনের নিয়মশৃঙ্খলা যে মেনে চলবে না তাকেই সরতে হবে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.