ইস্টবেঙ্গল ভিয়েতনামে খেলছে বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে। ডুরান্ডে প্রয়াগ-সালগাওকর-চার্চিলও পাচ্ছে সেই সুযোগ। পুণে এফ সি খেলল ব্ল্যাকবার্ন রোভার্সের সঙ্গে।
শুধু মোহনবাগানই প্রতিদ্বন্দ্বী পাচ্ছে না। আই লিগে নামার আগে কোনও টুর্নামেন্ট খেলছে না মোহনবাগান। তারা এখন ভাল প্রতিদ্বন্দ্বীর খোঁজে। কোচ স্টিভ ডার্বি চাইছেন অন্তত তিনটি প্রস্তুতি ম্যাচ। একাদশীর দিন প্র্যাক্টিস সেরে বেরোনর সময় বললেন, “ক্লাবের সিদ্ধান্তে ডুরান্ড কাপে খেললাম না। আই লিগের আগে অন্তত তিনটি ভাল দলের সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু এখনও ঠিক নেই কাদের সঙ্গে খেলব।”
আই লিগে পৈলান অ্যারোজের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে নামার আগে ব্যারেটো-ওডাফারা নিজেদের ভাল ঝালিয়ে নেওয়ার সেই সুযোগ পাবেন কিনা সংশয় রয়েছে তা নিয়েই। কোচের সমর্থনে রহিম নবির বক্তব্য, “অনুশীলন করা আর প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার মধ্যে তফাত অনেক।” তবে নবি মেনে নিচ্ছেন, আই লিগের কোনও ক্লাব প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চাইবে না। সে ক্ষেত্রে লম্বা আই লিগের আগে খুব ভাল প্রতিদ্বন্দ্বী পাবে না মোহনবাগান।
একাদশীর সকালে যুবভারতীতে দেখা গেল, অনুশীলন সেরে বেরনোর পথে মোহনবাগান ফুটবলারদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ভিয়েতনামের টুর্নামেন্টের দলে ইস্টবেঙ্গলের যে সব ফুটবলারের জায়গা হয়নি তাঁরা অনুশীলন করতে ঢুকছেন। ইস্টবেঙ্গলের সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরী এবং অ্যালভিটো ডি’কুনহা তখন হাত মেলাচ্ছেন সবুজ-মেরুন কোচ স্টিভ ডার্বির সঙ্গে। চোট সারিয়ে উঠে ওডাফা ওকোলি, সুনীল ছেত্রী শুক্রবার সকালে নিজেদের মধ্যে ম্যাচও খেললেন। তবে চোট নিয়ে মাঠের ধারে বসে রইলেন এন পি প্রদীপ, সৌরভ চক্রবর্তী, শাখতার সিংহরা। ফিটনেস সমস্যা নয়, ডার্বিকে বেশি ভাবাচ্ছে ফুটবলারদের হারানো আত্মবিশ্বাস। কোচের কথায়, “তাইল্যান্ডে থাকার সময়ে দেখেছিলাম তাই ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস খুব বেশি। আমার এই দলেও অনেক ভাল ফুটবলার আছে। ওদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হবে।” |