আগের ম্যাচে বড় হারের ধাক্কা সামলে অনূর্ধ্ব ১৬ এশিয়ান ফুটবলের মূল পর্বে গেল ভারত। তাসখন্দে তারা ১৬ মিনিটে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে হারাল তাজিকিস্তানকে। ভারতের গোল করেন লালরামজুয়াভা, উত্তম রাই, সার্থক গলুই, ড্যানিয়েল। মূল পর্বের খেলা পরের বছর। সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, সার্থক দলুই, সুমন সাহা-রা বেশ ভাল খেলেন।
ভারতের প্রাক্তন জাতীয় কোচ রুস্তম আক্রামভ এখন উজবেকিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের ডিরেক্টর। সেখানে ভারতের খেলা দেখতে এসে প্রশংসা করেছেন ফুটবলারদের। বলেছেন, “ওদের অনেকের অনেক দূর যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তবে তার জন্য দেশের বাইরে খেলতে যেতে হবে।” ভারতীয়দের দুর্বলতা প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় ফুটবল সংস্থার ওয়েবসাইটে মজা করে বলেন, “ভারত শান্তির দর্শনে বিশ্বাসী। কিন্তু ফুটবলে শান্তি থাকলে চলবে না। আক্রমণাত্মক মনোভাব, লড়াই চাই। আমি কোচিং দেওয়ার সময় ভারতে প্রতিভা ছিল। কিন্তু লড়াকু মনোভাবের অভাব ছিল। তাই আমি ফুটবলারদের মধ্যে বক্সিং চালু করেছিলাম।”
ভাইচুং-বিজয়ন থেকে শুরু করে ব্রুনো-আনচেরি, সবাইকে কোচিং করিয়েছেন আক্রামভ। কিন্তু তাঁর পছন্দের সেরা ফুটবলার হলেন অজয় সিংহ। তাসখন্দে বলেছেন, “ওর লড়াকু মনোভাবের জন্য।” তাঁর অন্যতম প্রিয় ফুটবলারদের নাম করতে বললে, আক্রামভ নাম করেন, ম্যান্ডেলা (বাসুদেব মণ্ডল), আনচেরির প্রতিভার। আকিল আনসারির পরিশ্রমের। তার পরে নাম করেন ভাইচুং, বিজয়ন ও সাব্বির পাশার।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থা কোচ খুঁজে বেড়াচ্ছে। সুখবিন্দর সিংহ, স্যাভিও মিডেইরাতাদের দুই কর্মরত কোচ ছাড়া কাউকে পাচ্ছে না। আপনি কি কোচিং করাতে ভারতে আসতে পারেন? আক্রামভ এখন উজবেকিস্তান ফুটবলের পাশাপাশি ফিফা ইনস্ট্রাক্টর, ফিফার পরামর্শদাতা, এ এফ সি-র টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য। প্রশ্ন শুনে বলেন, “ভারতে যেতে পারলে ভাল লাগত। কিন্তু এই বয়সে দেশের বাইরে থাকা সম্ভব নয়।” |