|
|
|
|
রেলশহরে দশেরা উৎসব |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গেই দশেরা পালিত হল রেলশহর খড়্গপুরে। শহরের রাবণ-পোড়ার মাঠে উপস্থিত থেকে উৎসবের আনন্দে গা ভাসালেন কয়েক হাজার মানুষ। সকলের একটাই প্রার্থনা, অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভ শক্তির জয় হোক। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই মাঠের আশপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। শেষমেশ অবশ্য নির্বিঘ্নেই শেষ হয়েছে উৎসব-পর্ব।
প্রতি বছরই এই রাবণ-পোড়া উৎসবকে কেন্দ্র করে দশমীর দিন মাতোয়ারা হয় খড়্গপুর। গিরি ময়দান এলাকায় রয়েছে রাবণ-পোড়া মাঠ। বৃহস্পতিবার দুপুরে থেকে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে এখানেই জড়ো হন কয়েক হাজার মানুষ। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) বিনীত গোয়েল, খড়্গপুরের ডিআরএম আর কে কুলশ্রেষ্ঠ, মেদিনীপুরের সাংসদ প্রবোধ পান্ডা, খড়্গপুরের পুরপ্রধান জহরলাল পাল প্রমুখ। |
 |
নিজস্ব চিত্র। |
শহরের গোলবাজারের রামমন্দির থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয় রাবণ-পোড়া ময়দানের উদ্দেশে। রেলশহরের মানুষের কাছে এই শোভাযাত্রা ‘আখড়া’ বলেই পরিচিত। প্রতি বছর এক-একটি ক্লাব পালা করে রাবণ তৈরির দায়িত্ব নেয়। এ বার যেমন রয়েলস্টার অ্যাকাডেমির উপর এই দায়িত্ব বর্তেছিল। তারা সুষ্ঠু ভাবেই সেই দায়িত্ব পালন করে। ৫৮ ফুটের রাবণ তৈরি করতে খরচ হয় ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। সেই রাবণের দিকে তির ছুড়ে অশুভ-নাশের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন ডিআইজি ও ডিআরএম। প্রজ্জ্বলিত হয় সেই রাবণ-মূর্তি। ফাটতে শুরু করে বাজি। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় তৈরি হয়ে যায় এক অন্য আবহ। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় রাবণ। |
|
|
 |
|
|