সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি খড়্গপুর লোকাল থানার সাহাচকে গাড়ি থামিয়ে এক ব্যবসায়ীর বেশ কয়েক লক্ষ টাকা লুঠের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা এবং অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের বক্তব্য, “দু’জন ধরা পড়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও খোঁজ চলছে।” বৃহস্পতিবার খড়্গপুরের তালবাগিচা থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম মানিক শ্যামল ও রাজেশ রাও। মানিকের বাড়ি গোপীবল্লভপুরে। তবে মেদিনীপুর শহর ও খড়্গপুরের তালবাগিচায় বাড়ি ভাড়া করে থাকত। রাজেশের বাড়ি খড়্গপুরের সাঁজুয়ালে। গত ১২ সেপ্টেম্বর বাসব রামবাবুর কনভয়ে গুলি-চালানোর ঘটনা ঘিরে যখন তোলপাড় চলছে খড়্গপুরে, ঠিক তার দু’দিনের মাথায় ছিনতাইয়ের এই ঘটনাটি ঘটে। খড়্গপুরের সাহাচক হয়ে চলে গিয়েছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রেলশহরের মালঞ্চ এলাকায় অশোক শর্মা নামে এক ব্যক্তির লোহার রডের ব্যবসা রয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকায় দোকানে লোহার রড সরবরাহ করেন তাঁরা। সংস্থার কর্মীরা ওই সব দোকান থেকে টাকা আদায় করেন। সে দিনও গাড়িতে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন সংস্থার এক কর্মী। সন্ধ্যায় সাহাচকে পৌঁছলে একটি মোটরবাইক গাড়িটির সামনে এসে দাঁড়ায়। ওই কর্মীর কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে পালায় দুষ্কৃৃতীরা। পুলিশের কাছে ৩৮ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ হয়। রেলশহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। জাতীয় সড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বেগ দেখা দেয় ব্যবসায়ী মহলে। বৃহস্পতিবার পুলিশের একটি দল তালবাগিচায় হানা দিয়ে একটি বাড়ি থেকে মানিকদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় নগদ ৫০ হাজার টাকা, ৯ এমএম পিস্তলের ১০ রাউন্ড গুলি, একটি ৮ এমএম পিস্তল ও ২ রাউন্ড গুলি।
|
বন্ধ ডাকঘরের মধ্যে থেকেই উদ্ধার হল এক নৈশপ্রহরীর দেহ। এই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রামের বালিগেড়িয়ার। শুক্রবার সকালে কর্মচারীরা এসে নৈশপ্রহরী অবনী মাহাতোকে (৩৫) ডাকাডাকি করেন। তাঁর সাড়া মেলেনি। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দুপুরে পুলিশ এসে ডাকঘরের দরজার তালা ভেঙে অবনীবাবুর দেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, বিষক্রিয়ার ফলেই এই মৃত্যু। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝাড়গ্রামে পাঠানো হয়েছে। |