|
|
|
|
নিরঞ্জন ঘিরে বার্তা মৈত্রীর
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • বক্সিরহাট |
অসমের পুজো উদ্যোক্তারা এক জোড়া সাদা পায়রা নিয়ে এসেছিলেন। বাংলার পুজো উদ্যোক্তারা শান্তির বার্তা পৌছে দিতে ওই পায়রা দুটি নীল আকাশে উড়িয়ে দিলেন। শুরু হয়ে গেল প্রতিবেশী দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের মিলন মেলা। অসম সংলগ্ন বক্সিরহাটে বৃহস্পতিবার ওই অভিনব মেলা হল। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “অসম-বাংলা দুই রাজ্যের বাসিন্দাদের এমন মিলিত প্রয়াস এই প্রথম দেখলাম। এর পরে মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করতে সহযোগিতা করব।”মেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দশকের বেশি সময় ওই মেলা পুরনো। প্রতি বছর দশমীতে বক্সিরহাটে গরুহাট ময়দানে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে। দুই রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তারা মেলা ময়দানে প্রতিমা নিয়ে যান। শুরু থেকে পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন হয়। শুধু কী প্রতিমা! মেলা ময়দানে থাকে এ রাজ্যের বৈরাতি, অসমের বিহু নৃত্যের মতো রকমারি অনুষ্ঠানের আয়োজন। এ বারও চমকের খামতি ছিল না। পরম্পরা মেনে বিভিন্ন দিক বিচার করে তিনটি পুজো কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। দুই রাজ্যে পুজো আয়োজনের প্রতিযোগিতায় এ বার প্রথম হয়েছে অসমের কোকরাঝাড় জেলার ছোটগুমা পুরনো দেবীবাড়ি সর্বজনীন। দ্বিতীয় হয়েছে বক্সিরহাট পোস্ট অফিস পাড়া। রেডরোজ ক্লাব তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। এ ছাড়াও শোভাযাত্রা, শৃঙ্খলা, আলোকসজ্জার উপরে ছিল ৭টি পুরস্কার। মেলা কমিটির সভাপতি তথা তুফানগঞ্জ-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া বলেন, “দুই রাজ্যের ২৩টি পুজো কমিটি এ বারের মেলায় অংশ নিয়েছে। আগামী দিনে মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।”
কাঠামো তুলতে উদ্যোগ। প্রতিমা নিরঞ্জনের পর কাঠামো তোলার ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে আলিপুরদুয়ার পুরসভা। শুক্রবার পুরসভার চেয়ারম্যান দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, শহরের কালজানি নদী, শোভাগঞ্জ এলাকা ও শহরের বেশ কয়েকটি পুকুরে দুর্গা মুর্তি ভাসান হয়। এ বার প্রতি ঘাটে আলোর ব্যবস্থার পাশাপাশি পুরসভার কর্মী মোতায়ন করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|