বিসর্জনের সময় পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে উদ্যোগ |
হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় সর্বজনীন দুর্গাপুজোগুলির প্রতিমা বিসর্জন চলছে। দশমীর রাত থেকে প্রতিমা বিসর্জন শুরু হয়েছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শুক্রবার রাত পর্যন্ত বিসর্জন শান্তিপূর্ণ ছিল বলে জেলা পুলিশের এর দাবি। বৃহস্পতিবার রাতে ডোমজুড়ে বিসর্জন দেওয়ার সময়ে দু’টি ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে মারপিট বাধে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে। আজ, শনিবার জেলার বাকি প্রতিমাগুলি বিসর্জন দেওয়ার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রবীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। সর্বত্রই কড়া নজরদারি রয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানান। উলুবেড়িয়ায় গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের জন্য কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে উলুবেড়িয়া পুরসভা। পুরনো হাসপাতালের কাছে এবং কালীবাড়ি এই দু’টি ঘাটে বিসর্জন চলছে। দু’টি ঘাটকেই জোরালো আলো দিয়ে সাজিয়েছে পুরসভা। উলুবেড়িয়ার সব প্রতিমা এই দু’টি ঘাটে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে। প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা যাতে নির্বিঘ্নে আসতে পারে সে জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে নদী বাঁধের উপরে ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করা হয়েছে। মেরামতির কাজ হয়েছে বিজর্সনের জন্য নির্দিষ্ট ঘাট দু’টিতেও। বিসর্জনের পরে প্রতিমার কাঠামো তুলে ফেলার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে রাখা হয়েছে ‘সাফাই বন্ধু’। রয়েছেন পুরসভা নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকেরাও। কয়েকটি নৌকা এবং দু’জন ডুবুরিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে বিসর্জনের সময়ে কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধার চালানো যায়। রাস্তার উপরেও দেওয়া হয়েছে আলো। প্রতিমার সাজ, ফুল এবং মালা যাতে গঙ্গায় ফেলা না-হয় তার জন্য পুরসভার পক্ষ থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে। ব্যানার এবং ফেস্টুনের মাধ্যমেও এ কথা লিখে জানানো হচ্ছে। পুরসভার পক্ষ থেকে কয়েকটি ঝুড়ি রাখা হয়েছে। প্রতিমার সাজ, ফুল এবং মালা সেই সব ঝুড়িতে ফেলার জন্য পুজো কমিটিগুলিকে অনুরোধ করা হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষ বলেন, “আমরা গত বছরেও এই সব ব্যবস্থা করেছিলাম। এ বছর আমরা পুজোর চার দিন চলাকালীন শহরের রাস্তায় জঞ্জাল জমতেদিইনি। প্রতিদিন ভোরে সাফাইকর্মীরা রাস্তা পরিষ্কার করেছেন।”
|
শব্দবাজি ফাটানোয় বাধা, শহরে মিছিল |
ভাসানের সময় শব্দবাদি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বচসা বাধল পুলিশ ও একটি পুজো কমিটির মধ্যে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায়। পুলিশের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি দে-সহ তিন যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাতে তাঁরা জামিনে ছাড়া পান।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশমীর সকালে পোদ্দারপাড়া সর্বজনীন কমিটির ভাসানের শোভাযাত্রা মাচানতলামোড় পার হওয়ার সময়ে পুলিশ তাদের আটকে শব্দবাজি ফাটাতে নিষেধ করে। শুধু পোদ্দারপাড়া সর্বজনীন নয়, পটকা ফাটানোর বিষয়ে কড়াকড়ির মুখে পড়েছে বাঁকুড়ার অন্য পুজো মণ্ডপগুলিও। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে শুক্রবার পুজো কমিটিগুলির প্রায় ১০০ জন সদস্য মিলিত হয়ে মিছিল করেন। বাঁকুড়া পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “ভাসানে নিষিদ্ধ শব্দবাজি ফাটানোকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া শহরে ঝামেলার সৃষ্টি হয়। জনতাকে বাগে আনতে বাধ্য হয়ে লাঠি চালাতে হয় পুলিশকে। দশমীর দিন অভিযান চালিয়ে ৫৬ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।”
|
প্রতিমা নিরঞ্জন শোভাযাত্রায় শব্দদূষণ রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিল আলিপুরদুয়ার মহকুমা প্রশাসন। পুজোর আগে আলিপুরদুয়ার পুলিশ প্রশাসনের তরফে প্রতিটি পুজো কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করে বিসর্জনের দিন শব্দদূষণ সমন্ধে সচেতন করে দেওয়া হলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ অভিভাবক মঞ্চের। আলিপুরদুয়ার অভিভাবক মঞ্চের সম্পাদক ল্যারি বসু বলেন, “এ বার পুজোর ভাসানে কিছু মদ্যপ যুবক উৎসবের পরিবেশকে দুষিত করার চেষ্টা করে। পুলিশ ও মহকুমা প্রশাসনকে এই ব্যাপারে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” আলিপুরদুয়ার মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এন টি লেপচা বলেন, “প্রচন্ড আওয়াজে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে শব্দদূষণ করলে সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুজোর আগে বিষয়টি নিয়ে পুজো কমিটিগুলিকে সর্তক করা হয়েছে।”
|
অবশেষে বাঁকুড়া ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে গেল দলমার ১২০টি হাতি। দশমীর রাতে বিষ্ণুপুর বনাঞ্চল থেকে তাদের তাড়াতে সক্ষম হয়েছে বাঁকাদহ রেঞ্জের বনকর্মীরা। বাঁকাদহ রেঞ্জের আধিকারিক বলাই ঘোষ বলেন, “পুজোর মধ্যে অশান্তি ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমরা হাতির দলটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে দলটিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে।” হাতির দল যাওয়ার পথে বিষ্ণুপুর থানার কলাবাগান, চাঁচর বেলশুলিয়া প্রভৃতি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এ দিকে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রেঞ্জ অফিসার। |