|
|
|
|
হাওড়ায় পুজোমণ্ডপে ‘আক্রান্ত’ তরুণী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
ভূত বাংলোর আদলে তৈরি হয়েছিল মণ্ডপ। আর সেই মণ্ডপে ‘জ্যান্ত ভূত’ দেখতে বেশ ভিড়ও হচ্ছিল। দশমীর রাতে পুজো মণ্ডপে ঢুকে ‘ভূতের হাতে’ আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ তুললেন এক তরুণী। তাঁর হাত ও পিঠ মিলিয়ে ২৫টি সেলাই হয়েছে। এমনকী ঘটনার পরে বিষয়টি জানালে পুজোর উদ্যোক্তারা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ।
এ বিষয়ে হাওড়ার ডিসি (সদর) সুকেশ জৈন বলেন, “ওই তরুণীর বাড়ির লোকের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
পুলিশ জানায়, জখম ওই তরুণীর নাম, ঝুমা সরকার। তিনি বালির রাজচন্দ্রপুরের প্রফুল্লনগরের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে তিনি বালি নিশ্চিন্দার পশ্চিমপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটির মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ভূত বাংলোর আদলে তৈরি ঘুটঘুটে অন্ধকার ওই মণ্ডপের ভিতরে ঢোকার পরেই অশালীন আচরণ করার জন্য এক ‘জ্যান্ত ভূতের’ মডেলের সঙ্গে ঝুমার ভাই বাপনের কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওই তরুণী তাঁর ভাইকে সরিয়ে নিয়ে চলে আসেন। কিন্তু বাইরে বের হওয়ার আগে তিনি পিঠে ও হাতে জ্বালা-যন্ত্রণা অনুভব করেন। বাপন বলেন, “বাইরে বেরিয়ে আলোয় দেখি দিদির ডান হাত ও পিঠ থেকে রক্ত ঝরছে। বিষয়টি ক্লাবের লোকেদের বললে ওঁরা ডেটল লাগিয়ে ছেড়ে দিলেন। কী করে এ রকম হল জানতে চাইলে ওঁরা বাজে ব্যবহার করেন।” এর পরেই ঝুমাকে নিয়ে তাঁর বাড়ির লোকেরা প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে নিজেদের পাড়ায় চলে আসেন। সেখান থেকে ঝুমাকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। সেখান থেকে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়।
নিশ্চিন্দা পশ্চিমপাড়া সর্বজনীন পুজো কমিটির সম্পাদক চন্দন দাস বলেন, “পুজোয় খুব ভিড় হয়েছে। কারও কিছু হয়নি। মনে হয় ভয় পেয়ে পড়ে গিয়ে প্লাইবোর্ডে হাত ও পিঠ কেটেছে। আমরা চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ির লোকেরা রাজি হলেন না।” |
|
|
|
|
|