|
|
|
|
দশমীর রাতে যুবকের ঝুলন্ত দেহ কোন্নগরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোন্নগর |
বিজয়া দশমীর রাতে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল হুগলির কোন্নগরের কানাইপুর শাস্ত্রীনগরে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সৌমিত্রবরণ জানা (২১)। তাঁর আদি বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির আলাদারপুট গ্রামে। চাকরি সূত্রে শাস্ত্রীনগরে ভাড়া থাকতেন। তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের অনুমান, ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে মৃতের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁদের অবশ্য দাবি, সৌমিত্রকে খুন করা হয়েছে। যদিও, রাত পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ হয়নি পুলিশের কাছে।
ওই যুবকের মামা বলরাম জানা বলেন, “ভাগ্নে বেশ লম্বা। যেখান থেকে দেহ ঝোলার কথা বলা হচ্ছে, সেখান থেকে সহজেই কোনও কিছুতে পা পেয়ে যাওয়ার কথা। তা ছাড়া, মেঝেতে রক্তের দাগ ছিল। বালিশেও রক্তের দাগ স্পষ্ট। কেউ গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলে এত রক্ত আসবে কোথা থেকে? ভাগ্নেকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে আমাদের মনে হচ্ছে।” তা হলে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি কেন? বলরামবাবুর দাবি, “আমরা এফআইআর করতেই চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ অফিসারেরা বললেন, ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। ওই রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিত পেলে তবেই যেন আমরা এফআইআর করি।”
এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য, “ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে আমরা নিশ্চিত, ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। একটি আঙুলে সামান্য কেটে যাওয়ায় রক্ত বেরিয়েছে এটা ঠিক, তবে দেহের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তা ছাড়া, আমরা ময়না-তদন্তকারী চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেছি। তাঁরাও ঘটনাটিকে আত্মহত্যাই বলছেন। এর পরেও ময়না-তদন্তে খুন প্রমাণিত হলে, তখন এফআইআর করা তো হবেই।”
পুলিশের ‘ভূমিকা’ নিয়ে শ্রীরামপুরের এসডিপিও রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “পুলিশ অভিযোগ নিচ্ছে না, আমার কাছে এমন কোনও খবর নেই। তা সত্ত্বেও যদি মৃতের বাড়ির লোকের নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তা হলে তাঁরা অবশ্যই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।” মৃতের বাড়ির লোকেরা জানান, মাস চারেক আগে শাস্ত্রীনগরে টালির চালের ঘরটি ভাড়া নেন সৌমিত্রবরণ। একাই থাকতেন। এখানে থেকে পড়াশোনা করতেন। মাস খানেক আগে কলকাতার একটি সংস্থায় চাকরি পান। তদন্তে নেমে পুলিশ জেনেছে, এক তরুণী মাঝেমধ্যে সৌমিত্রবরণের কাছে আসতেন। শুক্রবার সকালে তাঁর ফোন এসেছিল সৌমিত্রবরণের মোবাইলে। এক তদন্তকারী অফিসার ফোনটি ধরেন। পুলিশ সূত্রের খবর, সৌমিত্রবরণের মৃত্যুর খবর পেয়েই তিনি ফোনটি কেটে দেন। এর পর থেকেই সেই মোবাইলটি ‘স্যুইচড্ অফ’। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, প্রণয়ঘটিত কারণে ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। পুলিশ ওই তরুণীর খোঁজ করছে। |
|
|
|
|
|