খুনের চেষ্টা, ছিনতাই-সহ কয়েকটি অভিযোগে পুরনো একটি মামলায় অভিযুক্ত আরামবাগের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিনয় দত্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় কালীপুরে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করা হয় বিনয়বাবুকে। শুক্রবার তাঁকে আরামবাগ মহকুমা আদালতের এসিজেএম কোর্টে হাজির করানো হয়। জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক তাঁকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। |
এ দিন আদালত চত্বরে বিনয়বাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল পরিকল্পনা করে মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে ফাঁসিয়েছে। বিনয়বাবুকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ দিন আরামবাগ শহরে ধিক্কার-মিছিল করে সিপিএম। বিনয়বাবুর শাস্তির দাবিতে পাল্টা মিছিল করে তৃণমূলও।
তৃণমূলের ‘সন্ত্রাস’-এর প্রতিবাদে ২০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র আরামবাগে মহকুমাশাসকের দফতরের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি নেন। মহকুমাশাসককে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। ওই দিনই সূর্যবাবুর কর্মসূচিতে যোগদান করতে আসছিলেন কিছু সিপিএম কর্মী-সমর্থক। বাইশ মাইল বাজারে তাঁদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষের চার জন আহত হন। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে থানায়। তৃণমূলের দায়ের করা অভিযোগে মূল অভিযুক্ত ছিলেন বিনয়বাবুই। রাতে এক তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। পরের দিন গ্রেফতার করা হয় আরামবাগের সিপিএম নেতা তথা নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতির আরামবাগ মহকুমা সভাপতি অশোককুমার পাত্রকে। দু’জনেই পরে জামিন পান। বিনয়বাবুকে নিয়ে ওই গোলমালের ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হল। বিনয়বাবুর আইনজীবী তপন হাজরার দাবি, “২০ সেপ্টেম্বরের ঘটনার সঙ্গে বিনয়বাবুর যোগ ছিল না। ঘটনার সময়ে তিনি জুবিলি পার্ক মাঠে ও দলের জোনাল কমিটির কার্যালয়ে ছিলেন। ১৫ অক্টোবর বিনয়বাবুর জামিনের জন্য ফের আবেদন করব।” দলের তরফে মহকুমার দায়িত্বে থাকা তৃণমূল নেতা তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক তপন মজুমদার বলেন, “গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে সিপিএম-তৃণমূল যে-ই বাধা দিক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুলিশ সেই ভূমিকা নিরপেক্ষ ভাবে পালন করছে।” |