|
|
|
|
ব্রহ্মপুত্রে প্রতিমা বিসর্জন শান্তিতেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ধুবুরি |
কয়েকটি জায়গায় ছোটখাট গোলমালের ঘটনা ছাড়া কড়া নিরাপত্তায় কার্যত শান্তিপূর্ণ ভাবেই দুর্গাপুজো পার হল ধুবুরিতে। শুক্রবার গঙ্গাধর নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে গোলকগঞ্জের বাসিন্দা শঙ্কর রায় নামে এক যুবক নদীতে তলিয়ে যান। তাঁর হদিস মেলেনি। বৃহস্পতিবার দশমীতে ধুবুরির ৮৯ টি প্রতিমা শহর পরিক্রমা করে ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। ধুবুরির পাশাপাশি গৌরীপুর, বিলাসিপাড়া, মানকাচার এলাকাতেও ওই দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে বিসর্জন হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তলিয়ে যাওয়া ২৫ বছরের ওই যুবক শঙ্কর এবং তাঁর ২ বন্ধু বিসর্জনের পর ফের নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। গভীর জলে তলিয়ে যান ৩ জনই। দুই জনকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারলেও শঙ্করকে উদ্ধার করা যায়নি। ধুবুরির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিতেশ রায় বলেন, “কয়েকটি জায়গায় ছোটখাট বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ছাড়া ধুবুরির পুজো শান্তিপূর্ণভাবে কেটেছে। গোলকগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে এক যুবক নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ধুবুরি জেলায় মোট ৩৬৫ টি দুর্গাপুজো হয়। তার মধ্যে ধুবুরি শহরের শান্তিনগরের দুর্গাপুজো বাসিন্দাদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র ছিল। মায়াপুরের ইস্কন মন্দিরের আদলে মণ্ডপ তৈরি করে ছিলেন উদ্যোক্তারা। তা ছাড়া সবুজ সঙ্ঘে গুজরাতের পালিটানা জৈন মন্দির এবং ভ্রাতৃসঙ্ঘের আমেরিকার একটি বাংলোর অনুকরণে তৈরি মণ্ডপ দেখতে ভিড় ছিল দর্শনার্থীদের।
গৌরীপুরের পালপাড়া ইউনিয়ন ক্লাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা করা হয়েছিল। গৌরীপুরে ১ নম্বর ওয়ার্ডে সর্বজনীন পুজোয় টেরাকোটার প্রতিমা তৈরি করা হয়। আসারিকান্দি গ্রামের শিল্পী ধীরেন পাল মূর্তি তৈরি করেন। গোলকগঞ্জ থানার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দুর্গা পুজোয় হিন্দু-মুসলমান উভয় সম্প্রদায়ের বাসিন্দারাই সম্প্রীতির উৎসবে মেতে ওঠেন। মণ্ডপসজ্জার ঘটা না থাকলেও নিয়ম রীতি মেনে হওয়া হরিসভা, ধুবুরি কালীবাড়ির পুজো এবং ধুবুরির দত্ত বাড়িতে দুর্গা পুজোর ভিড় উপচে পড়ে। |
|
|
|
|
|