|
|
|
|
তেলেঙ্গানা প্রশ্নে কংগ্রেসের উপর চাপ বাড়ালেন চন্দ্রশেখর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
তেলেঙ্গানা নিয়ে কংগ্রেসের উপর নতুন করে চাপ বাড়ালেন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)-র প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, টিআরএস প্রধানের তরফে কংগ্রেসের কাছে তলে তলে এক অভিনব প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। যাতে বলা হয়েছে, পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের দাবি মেনে নিলে তাঁর দল টিআরএস-কে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দেবেন তিনি! অভিনব এই প্রস্তাব নিয়ে অবশ্য কংগ্রেসের তরফে কোনও মতামত জানানো হয়নি।
তেলেঙ্গানা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। পরে নর্থ ব্লকে আহমেদ পটেল, গুলাম নবি আজাদের সঙ্গেও কথা বলেন প্রণববাবু। চন্দ্রশেখরের প্রস্তাব খতিয়ে দেখতেই বৈঠক বলে মনে করছেন অনেকে। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে ইতিবাচক সাড়া পেলে ১১ বা ১৩ অক্টোবর দিল্লি আসতে পারেন চন্দ্রশেখর।
তেলেঙ্গানা নিয়ে এমনিতেই যথেষ্ট চাপে রয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, চন্দ্রশেখর রাওয়ের প্রস্তাব কংগ্রেসকে উভয় সঙ্কটে ফেলে দিয়েছে। তেলেঙ্গানার দাবি মেনে নিলে দেশের অন্যান্য অংশ থেকেও পৃথক রাজ্য গঠনের দাবি উঠবে। এই মুহূর্তে কংগ্রেসের কাছে যা প্রবল অস্বস্তিকর। আবার না বললেও কংগ্রেসের অসুবিধা বাড়বে। তা ছাড়া, অন্ধ্রপ্রদেশে এখন কংগ্রেসের অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাজ্য থেকেই গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনে যথাক্রমে ২৯ ও ৩২ জন সাংসদ পেয়েছে কংগ্রেস। তেলেঙ্গানার দাবি না মানলে ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনে এতগুলি সাংসদ যে পাওয়া যাবে না, তা স্পষ্ট। সেই ব্যাপারটিও ভাবাচ্ছে কংগ্রেসকে।
পৃথক তেলেঙ্গানার দাবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলন অব্যাহত। রাজ্য সরকারের তেলেঙ্গানা-সমর্থক কর্মীরা গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে বন্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। তেলেঙ্গানার ১১টি জেলায় চলা এই আন্দোলন সামালানোও এখন কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। নিজেদের দাবির সমর্থনে ৯ ও ১১ অক্টোবর রেল রোকোর ডাক দিয়েছিল তেলেঙ্গানা জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। সেই কর্মসূচি পিছিয়ে ১২, ১৩ এবং ১৪ অক্টোবর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ এই কথা জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক এম কোদানদরম। ৯ ও ১১ অক্টোবর অন্য কর্মমূচি থাকার জন্য এই সিদ্ধান্ত বদল বলে জানিয়েছেন তিনি। |
|
|
|
|
|