দশমীর দিন সকালে, দিসপুর-গণেশগুড়ির রাস্তায় কাটা মুণ্ড হাতে এক ব্যক্তির হেঁটে যাওয়া দেখে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারী, এমন কী সংবাদমাধ্যমের সামনেও ভ্রূক্ষেপহীন ভাবে, রক্ত গড়ানো স্ত্রীর মাথাটি হাতে ঝুলিয়ে হাঁটছিলেন গাড়িচালক রঞ্জিতকুমার দাস। বাঁ হাতে কাটা মাথা, ডান হাতে রক্তমাখা দা। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে পুলিশও। বর্তমানে ফাঁসীর আসামি, রাজ্যে বহু আলোচিত মহেন্দ্রনাথ দাসের কায়দায় সেই কাটা মাথা থানায় জমা দেন রঞ্জিত।
নিজেই বলেন, “আমায় গ্রেফতার করুন। বাইরে থাকতে চাই না।” পুলিশ জানিয়েছে, রঞ্জিতবাবুর স্ত্রী অমিয়া দইমারি দাসের মুণ্ড সেটি। পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমকে রঞ্জিতবাবু বলেন, “আগেও অন্য পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছিল অমিয়া। বারবার সাবধান করেছিলাম। শোনেনি। বাড়ি পালটে জাপোরিগগ এলাকায় আসি। ফল হয়নি। আজ গাড়ি চালিয়ে ফিরে ঘরে ঢুকে দেখি, অন্য একজনের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত আমার স্ত্রী। দা বের করে মাথা কেটে ফেলেছি। কোনও অনুশোচনা নেই।” গুয়াহাটির সিজেএম আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।পুলিশ জানায়, রঞ্জিতাবাবু আদতে নলবাড়ি জেলার টিহুর বাসিন্দা। ১০ বছর আগে দু’জনের বিয়ে হয়। নয় ও ছয় বছরের দুই ছেলে রয়েছে তাঁদের। অমিয়াদেবী দরং জেলার ওরাং-এ, একটি নার্সি হোমে কাজ করতেন। এই ঘটনার আগে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে রঞ্জিত থানায় অভিযোগও লিখিয়েছিলেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
ঘটনার সময় তাঁদের বড় ছেলে বিশাল দাস টিহুর বাড়িতে ছিল। টিভিতে দিনভর মায়ের কাটা মাথা হাতে বাবার হেঁটে যাওয়ার দৃশ্য দেখে সে ভেঙে পড়েছে। রঞ্জিতের এক বন্ধু ছোট ছেলে অসীমকে নলবাড়ি নিয়ে গিয়েছে। সে এখনও পর্যন্ত মায়ের মৃত্যুর খবর জানে না। |