|
|
|
|
বিস্ফোরক উদ্ধার দমদমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
দশমীর সকালে দমদমের দু’টি জায়গা থেকে বিস্ফোরক উদ্ধার হল। প্রথম ঘটনাটি ঘটে স্থানীয় দেবী নিবাস রোডে। পুলিশ ও সিআইডি সূত্রে খবর, সেখান থেকে খুবই শক্তিশালী বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, জনবহুল দেবী নিবাস রোডে ওই বিস্ফোরণ ঘটলে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। পরে দমদম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বাজির মশলা ও বেশ কিছু চকোলেট বোমাও উদ্ধার হয়।
সিআইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার, দশমীর দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দেবী নিবাস রোডে একটি বন্ধ দোকানের সামনে প্লাস্টিকে মোড়া অ্যালুমিনিয়ামের একটি ফয়েল পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক বাসিন্দা জানান, ফয়েলটি দেখে প্রথমে খাবারের প্যাকেট বলে মনে হচ্ছিল। তার উপরে একটি কালো চাকতি লাগানো ছিল। সেটি দেখে সন্দেহ হলে স্থানীয়েরাই দমদম থানায় খবর দেন। পরে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা পুলিশ-কুকুর নিয়ে এসে ফয়েলটি পরীক্ষা করে দেখেন, তার মধ্যে তরল পদার্থ রয়েছে। সেটিকে বিস্ফোরক বলে সন্দেহ করে সিআইডি। তার পরে ২০০ মিটার দূরে শূরের মাঠ এলাকায় ফয়েলটি নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়। সিআইডি-র অনুমান, তরল পদার্থটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয়।
সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড সূত্রে খবর, ফয়েলের কালো চাকতিটি আসলে ডিজিটাল ক্যামেরার লেন্স। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তরল পদার্থটি ফয়েলে মুড়ে পাচার করা হচ্ছিল। প্রায় এক লিটারের মতো ওই বিস্ফোরক তরলটির কিছুটা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের সন্দেহ, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ দমদম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তল্লাশি চালানোর সময়ে কালো রঙের দু’টি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে আরপিএফ জওয়ানদের সন্দেহ হয়। আরপিএফের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অফিসারেরা শিয়ালদহ রেল পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করে বম্ব স্কোয়াডকে ডেকে পাঠান। শিয়ালদহের রেল পুলিশ সুপার তাপসরঞ্জন ঘোষ বলেন, “দু’টি ব্যাগেই বাজির মশলা ছিল। ওই মশলা দিয়ে প্রায় ২০০টি ছোট বোমা তৈরি করা যেত।” |
|
|
|
|
|