|
|
|
|
সল্টলেকে পুলিশের নাকের ডগায় চুরি |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
সল্টলেকে নিরাপত্তার বেহাল দশা ফের বেআব্রু হয়ে পড়ল ফাঁকা বাড়িতে চুরির একটি ঘটনায়। এজে ব্লকে ওই বাড়ির অদূরেই ছিল পুজোর মণ্ডপ। সেখানে ছিলেন পুলিশকর্মীরা। আর বাড়ির সামনে পাহারায় ছিলেন বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তাকর্মী। তা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার ভোরে ওই বাড়ির পিছনের দরজা ভেঙে চুরি করে নির্বিঘ্নেই চম্পট দিল চোরেরা। পুলিশ সূত্রের খবর, নগদ হাজার তিরিশেক টাকা ও কিছু গয়নাগাঁটি খোয়া গিয়েছে। পুলিশ জানায়, ষষ্ঠীর দিন গৃহকর্তা চন্দন দাস সপরিবার বাইরে যান। বাড়ি ফাঁকা থাকলেও বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা ওই বাড়ি পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁদেরও জেরা করছে পুলিশ। বাড়ির অদূরে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও কী ভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিধাননগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রণেন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এমন ঘটনা ঘটেই। এর আগেও এ জে ব্লকে একটি অপরাধের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে এক জন গ্রেফতার হয়েছিল। এ বারও অপরাধী ধরা পড়বে।”
অন্য দিকে, পুজোর আগে বিধাননগরের সাফাই ব্যবস্থা নিয়ে জোর প্রশ্ন উঠেছিল। বিভিন্ন জায়গায় আবর্জনা জমেছিল। মূলত গাড়ির সমস্যার জেরেই ওই অবস্থা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল বিধাননগর পুরসভা। অবশেষে প্রায় সাড়ে চারশো সাফাই কর্মী নিযুক্ত করে বিশেষ অভিযান শুরু করল বিধাননগর পুরসভা। পুজো মণ্ডপের চারদিকে অস্থায়ী দোকানগুলির বর্জ্য, পুজোর চারদিনে জড়ো হওয়া আবর্জনা, সব মিলিয়ে পাহাড় সমান চাপের মুখে ছিল বিধাননগর পুরসভা। এ বছর এফডি পুজো মণ্ডপে প্রতি দিন অসংখ্য দর্শনার্থী এসেছেন। ওই ব্লকের চারদিকে অসংখ্য খাবারের দোকান হয়েছে পুজোর সময়ে। কাছেই ইসি ব্লক ও লাবণির পুজোকে ঘিরে ওই এলাকায় দোকানের সংখ্যা অনেক। ফলে গোটা এলাকায় খাবারের দোকানের ফেলে দেওয়া প্লেট থেকে অন্য আবর্জনা জমেছে। একই ভাবে, কোয়ালিটি বাসস্টপ থেকে পর পর কয়েকটি পুজোয় এ বার ভিড় আগের থেকে বেশি হয়েছে। সেখানেও চিত্রটা একই।
বিধাননগর পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (আবর্জনা সাফাই) দেবাশিস জানা বলেন, “পুজোর মধ্যেও কয়েকটি জায়গায় সাফাই কর্মীদের রাখা হয়েছিল। পুজো শেষ হতেই জোরকদমে কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই এই বিপুল পরিমাণ আবর্জনা সরিয়ে ফেলা যাবে।” |
|
|
|
|
|