|
|
|
|
টুকরো খবর |
বিস্ফোরক উদ্ধার |
নিজস্ব সংবাদাতা |
দশমীর সকালে দমদমের দু’টি জায়গা থেকে উদ্ধার হল বিস্ফোরক। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দেবী নিবাস রোডে একটি বন্ধ দোকানের সামনে প্লাস্টিকে মোড়া কালো চাকতি লাগানো একটি অ্যালুমিনিয়ামের ফয়েল পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়েরা। পরে বম্ব স্কোয়াডের কর্মীরা পুলিশ-কুকুর নিয়ে এসে ফয়েলটি পরীক্ষা করে দেখেন, তার মধ্যে তরল পদার্থ রয়েছে। সেটিকে শক্তিশালী বিস্ফোরক বলে সন্দেহ করে সিআইডি। পরে দূরে নিয়ে গিয়ে ফয়েলটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। সিআইডি-র অনুমান, তরলটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জাতীয় পদার্থ। সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড সূত্রে খবর, ফয়েলের কালো চাকতিটি আসলে ডিজিটাল ক্যামেরার লেন্স। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, তরল পদার্থটি ফয়েলে মুড়ে পাচার করা হচ্ছিল। তরলটির কিছুটা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। বম্ব স্কোয়াডের কর্মীদের সন্দেহ, ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল। বম্ব স্কোয়াডের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, জনবহুল দেবী নিবাস রোডে ওই বিস্ফোরণ ঘটলে প্রাণহানির আশঙ্কা ছিল। অন্য দিকে, বৃহস্পতিবারই সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ দমদম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে তল্লাশি চালাতে গিয়ে কালো রঙের দু’টি ব্যাগে বাজির মশলা ও বেশ কিছু চকোলেট বোমা মেলে।
|
মৃতদেহ উদ্ধার |
দশমীর সকালে তিলজলার একটি আবাসন থেকে এক যুবকের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হল। পুলিশ জানায়, মৃত সামসের আনসারি (২০) আদতে মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। মাস দেড়েক আগে তিলজলা থানা এলাকার চৌভাগার একটি আবাসনে পাইপ সারাতে আসে ওই যুবক। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মৃত্যু হয় সামসেরের। তার দাদা ও বৌদি ওই আবাসনেরই তিন তলার একটি ঘরে থাকেন। সামসের থাকত চার তলায়। বুধবার রাতে দাদার ঘরে খেয়ে চার তলায় ঘুমোতে যায় সে। বৃহস্পতিবার সকালে, ওই ঘর থেকে সামসেরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কি কারণে এই ঘটনা ঘটেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এ দিকে, দশমীর সকালে মধ্য কলকাতার প্রেমচাঁদ বড়াল স্ট্রিটের একটি বাড়ি থেকে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যৌনকর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে।
|
নতুন কায়দায় চুরি |
পুলিশ ‘পরিচয়’ দিয়ে এক মহিলার গলার সোনার হার ও হাতের দু’টি বালা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিল তিন যুবক। সোনার গয়না পরে রাস্তায় বেরোলে ‘জরিমানা’ হবে এমনই ‘ভয়’ দেখিয়ে দশমীর সন্ধ্যায় ঠাকুরপুকুরের আর এন টেগোর রোডের বাসিন্দা মণিকা ভট্টাচার্যকে ‘বোকা’ বানাল ওই তিন যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে ঠাকুরপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মণিকাদেবী। পুলিশ জানায়, বুড়ো অশ্বত্থতলায় কেনাকাটা করতে যাওয়ার পথে জমজমাট রাস্তার মধ্যে অচেনা একটি ছেলে এসে মণিকাদেবীকে প্রণাম করে তাঁর কাছে একটি মন্দিরের খোঁজ করে। মণিকাদেবীর অভিযোগ, “মন্দিরটি চিনি না, বলার পরেই ওই ছেলেটি আমায় পাশের একটি ছেলেকে দেখিয়ে বলে, আমার বস্ আপনার সঙ্গে কথা বলবেন। অন্য ছেলেটি নিজেকে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ বলে পরিচয় দেয়। পরিচয়পত্রও দেখায়। বলে, গয়না পরে রাস্তায় বেরোলে জরিমানা করা হচ্ছে। আমার হাতের বালা ও গলার হার খুলে দিতে বলে।” ঠিক তখনই সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া আর একটি ছেলের হাতে ওই ‘পুলিশ’ যুবকটি গয়না দিয়ে দেয় বলে মণিকাদেবীর অভিযোগ। গয়না হাতে পাওয়ার পরে ‘পুলিশ’টি মণিকাদেবীকে হাতে লেখা একটি চিরকুটও দেয় বলে অভিযোগ।
|
কলকাতা ফিল্ম উৎসবের উদ্বোধন নেতাজি ইন্ডোরে |
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যদের আমলে নন্দনেই হত কলকাতা আর্ন্তজাতিক ফিল্ম উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এ বার সেই উদ্বোধন অনুষ্ঠান নন্দন থেকে সরছে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এ বার উদ্বোধন অনুষ্ঠান নেতাজি ইন্ডোরে হবে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধবাবু বরাবরই নন্দনে ‘স্বচ্ছন্দ’ ছিলেন। সেদিক দিয়ে মমতার এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। মমতা তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে জানান, নন্দনে উদ্বোধন অনুষ্ঠান হলে অনেক আগ্রহী দর্শকই দেখতে পান না। কারণ নন্দনের দর্শকাসন সংখ্যা সীমিত। কিন্তু নেতাজি ইন্ডোরে প্রায় দশ হাজার মানুষ ঢুকতে পারবেন। তাই, ফিল্ম উৎসবের উদ্বোধন অনুষ্ঠানের জায়গার ‘পরিবর্তন’ করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর কলকাতা ফিল্ম উৎসব শুরু হবে। আট দিন ব্যাপী এই উৎসবে দেশ-বিদেশের ছবি নন্দন, রবীন্দ্রসদন-সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হবে। অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ সহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকতে পারেন। উৎসব শুরুর আগে ইন্ডোরেই তৃণমূলের রাজ্য ও সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচন ও দলের নীতি নির্ধারণ কমিটি গঠনের কাজ হবে। ২ নভেম্বর ইন্ডোরে দলের সভাপতি নির্বাচন হবে বলে মুকুল রায় জানান। বর্তমানে দলের সাংগঠনিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে। উত্তরবঙ্গে সাংগঠনিক নির্বাচনের কাজ দেখতে আজ, শনিবারই উত্তরবঙ্গে যাচ্ছেন মুকুলবাবু। এই সময়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উত্তরবঙ্গে থাকার কথা। এ দিন মুকুলবাবু বলেন, “নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই আমাদের দলের সর্বস্তের সাংগঠনিক নির্বাচনের কাজ শেষ করা হবে।”
|
প্লাস্টিকের গুদামে আগুন |
তপসিয়া এলাকার একটি প্লাস্টিকের গুদামে শুক্রবার আগুন লাগে। দমকল জানায়, এ দিন রাত সওয়া দশটা নাগাদ ৩৬বি তপসিয়া রোডের ওই গুদামটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর কিছু ক্ষণের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। প্রায় ৪৫ মিনিটের চেষ্টায় দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। প্রাথমিক তদন্তের পর দমকল জানায়, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল। দমকল ও পুলিশ সূত্রের খবর, ওই গুদামটির মালিক মহম্মদ নাদিম। তিনি ওই গুদামটিতে প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিকের চাদর মজুত করেছিলেন। কিন্তু কোনও ধরনের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা ছিল না। এমনকী, লাইসেন্স ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিন রাতে ওই অঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, সারা এলাকায় প্লাস্টিক পোড়ার গন্ধে ভরে গিয়েছে। গুদামটি ঘিঞ্জি এলাকায় হওয়ায় আশপাশের বাসিন্দারাও অনেকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন। দমকল জানিয়েছে, আগুন দ্রুত না নেভানো গেলে ওঅ বস্তি এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারত। সে ক্ষেত্রে বড় ধরনের বিপদ ঘটত বলে দমকলকর্মীদের আশঙ্কা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই গুদাম এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের ব্যবস্থা না থাকায় প্রাথমিক ভাবে আগুন নেভানোর কাজ
শুরু করা যায়নি। গত বুধবার, নবমীর দিনও বেনিয়াপুকুর বস্তি এলাকায় একটি টায়ারের গুদামে আগুন লেগেছিল।
|
দেহ উদ্ধার |
গঙ্গা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির পচা-গলা দেহ উদ্ধার হল। শুক্রবার, বিকেলে জগন্নাথ ঘাটে হাফপ্যান্ট পরা দেহটি ভেসে আসতে দেখেন স্থানীয়েরা। জলপুলিশ দেহটি উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সপ্তাহখানেক আগে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|