|
|
|
|
টুকরো খবর |
নিরঞ্জনের পরে নদীস্নানে মেতে উঠল ভদ্রপুর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
বিসর্জনের বাজনা বেজে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নদী স্নানে মেতে ওঠেন নলহাটির ভদ্রপুর গ্রামের বাসিন্দারা। তবে এই স্নানের একটা বৈশিষ্ট্য আছে। আট থেকে আশি বছরের পুরুষেরা কোমরে অথবা মাথায় গামছা বেঁধে নদীতে যান। গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দা নির্মলেন্দু রায় বলেন, “ভদ্রপুর গ্রামের এই ঐতিহ্য প্রায় সাড়ে ৩০০ বছরের। পূর্বপুরুষদের মুখে শুনেছি কাশী বিশ্বনাথ ধামে বিজয়া দশমীর দিন নবপত্রিকা ও ঘট বিসর্জন হলেও ঠাকুর দালানে মায়ের মূর্তি থেকে যায়।” তিনি জানান, সেখানকার রীতি দেখে ভদ্রপুর গ্রামে নবপত্রিকা চতুর্দোলা, ঘট ভাসানো হয় গ্রাম সংলগ্ন ব্রাহ্মণী নদীতে। গ্রামের সকল বয়সের পুরুষেরা চতুর্দোলা ও ঘট বিসর্জনের পরে নদীতে স্নান করে। হাঁটু জল থাকলেও নদীতে স্নান করাটাই রীতি। সেই সাবেক রীতি মেনে ভদ্রপুরের চৌধুরীবাড়ি ও বন্দ্যোপাধ্যায়দু’টি পারিবারিক পুজোর চতুর্দোলা-সহ নবপত্রিকা ও ঘট নিয়ে যেমন উদ্যোক্তারা আসেন। তেমনি গ্রামের আরও ৯টি সর্বজনীন পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা বাজনা-বাদ্যি নিয়ে নদীতে স্নান করার উৎসবে সামিল হন। আগে এই উৎসব ভদ্রপুর ছাড়া, নবগ্রাম, আকালিপুর, দেবগ্রাম থেকে পুজো উদ্যোক্তারা আসতেন। গ্রামের রাজবাড়ির প্রাঙ্গণে সমস্ত পুজোর উদ্যোক্তারা মিলিত হন। গ্রাম দেবতা ভদ্রকালীর ঘট রাজবাড়িতে আসার পরে গ্রামের পুরুষেরা তেল-হলুদ মেখে নদীতে চতুর্দোলা ও ঘট ভাসিয়ে স্নান করেন। পরে নদী সংলগ্ন ফুল্লরা তলায় প্রণাম করে বাড়ি ফেরেন। রাজবাড়ির শোভাযাত্রা দেখার জন্য গ্রামের মহিলারা নিজ নিজ বাড়ির আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকেন। শোভাযাত্রা চলে যাওয়ার পরে মহিলারা মেতে ওঠেন সিঁদুর খেলায়। বৃহস্পতিবার দশমীর বিকেলেও এই দৃশ্যের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
|
দুর্গা মন্দিরে ডাকাতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • লাভপুর |
নবমীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটল লাভপুরের কুরুম্বা গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাতে গ্রামের হাটিপরিবারে ডাকাতি হয়। পরিবারের সদস্য প্রিয়রঞ্জন হাটি জানান, ৮-১০ জনের একটি দল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের দুর্গামন্দিরে হানা দেয়। পিস্তল দেখিয়ে প্রতিমার গয়না নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এসডিপিও (বোলপুর) দেবস্মিতা দাস বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যে কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|