|
|
|
|
টুকরো খবর |
মাইতিবাড়ির পুজো এখন সর্বজনীন
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শ্রীমার্কণ্ডেয় পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুর বধের পর দেবতারা স্তব করেছিলেন এক চতুর্ভুজা দেবীর। সেই চার হাতে শঙ্খ, চক্র, কৃপাণ ও ত্রিশূল। তিনি সিংহের কাঁধে আসীন। তবে এই দৃশ্যকল্পে অনুপস্থিত মহিষাসুর। এই রূপেই দেবী দুর্গা একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে পুজো পেয়ে আসছেন এগরার মাইতিবাড়িতে। এখানে তাঁর নাম ‘জয়দুর্গা’। মেদিনীপুরের ওড়িশা সীমান্তবর্তী এই এলাকাগুলি বাংলা ও ওড়িশার রাজাদের মধ্যে হাতবদল হয়েছে বার বার। এখানকার বেশিরভাগ মানুষই বিভিন্ন সময়ে ওড়িশার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা ছোট ছোট অংশের শাসনভার নিয়ে। তেমনই এক জন বিরিঞ্চি মাইতি এগরায় এসেছিলেন ব্যবসার জন্য। তাঁর ভূ-সম্পত্তিও ক্রমে বেড়েছিল। তাঁরই এক উত্তরপুরুষ, পেশায় চিকিৎসক, উমাপ্রসাদ মাইতি-র আমলে ১৮৮৯ সালে পরিবারে দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়।
উমাপ্রসাদের ছেলে কৃষ্ণদাস স্বাধীনতাসংগ্রামে যুক্ত হন। শোনা যায়, ’৪২-এর অগস্ট আন্দোলনের প্রাক্কালে বেশ কয়েক জন স্বাধীনতাসংগ্রামী কৃষ্ণদাসের আমন্ত্রণে মাইতিবাড়ির জয়দুর্গার কাছে দেশ স্বাধীন করার প্রার্থনায় পুজো দিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্য প্রণবজ্যোতি, ওঙ্কারজ্যোতি, সোহনজ্যোতি মাইতিরা বলেন, “এগরা শহর এলাকার প্রাচীনতম পুজো এটিই। একান্তই পারিবারিক হলেও এখন এ পুজো একটি সর্বজনীন রূপ পেয়ে গিয়েছে।” |
ডুবে মৃত যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। নাম পঙ্কজ সাউ (২৫)। বাড়ি বিহারের ভাগলপুরে। মেচেদায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার সকালে বাড়ির কাছে পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিলেন পঙ্কজ। তারপর থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা পুকুরে দেহ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে কোলাঘাট থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, পঙ্কজের মৃগি রোগ ছিল। পুকুরে পড়ে গিয়ে আর উঠতে পারেননি তিনি। |
|
|
|
|
|