|
|
|
|
উৎসব যখন সম্প্রীতির |
সুব্রত গুহ • খেজুরি |
দুর্গা প্রতিমা গড়েছেন মনোরঞ্জন। আর সেই প্রতিমা গড়ার মাটি মোহনা থেকে ভ্যানরিকশায় বয়ে এনেছেন আলম শাহ। সারাদিন খাটাখাটনির পর পুজোমণ্ডপের একধারে একই পঙ্ক্তিতে বসে খাচ্ছেন মুকুল মিঁয়া, অম্লান সাউ, শেখ এহসান, বিধুভূষণ মাইতিরা।
এমনই ছবি ধরা পড়ে খেজুরির নিজকসবা গ্রামের আনন্দলোক ক্লাবের পুজোপ্রাঙ্গণে। বাইশ বছর ধরে হিন্দু-মুসলিম, দুই সম্প্রদায়ের মানুষ সম্মিলিত ভাবেই এখানে শারদোৎসবের আয়োজন করে আসছেন।
হিজলির ‘মসনদ্-ই-আলা’ মসজিদ নিয়েই খ্যাতি উপকূল-ঘেঁষা নিজকসবা গ্রামের। সেই মসজিদের দোরগোড়ায় সরু একচিলতে রাস্তার পাশে ‘আনন্দলোকে’র পুজোমণ্ডপ। দুর্গাপুজোর ক’দিন এখানে মসজিদের আজানের সঙ্গেই মিশে যায় মন্ত্রোচ্চারণ। মণ্ডপের কাজের তদারকির মূল দায়িত্বে থাকেন মসজিদেরই সেবাইত সমিতির সম্পাদক আনসারউদ্দিন মিঁয়া। তিনি জানালেন, কে হিন্দু, আর কে মুসলিমএখানে সেটা ভাবনাতেই আসে না। আনসারউদ্দিন বলেন, “দুর্গাপুজোর শাস্ত্রীয় আচার-বিচার হিন্দুদের নিজস্ব হলেও শারদোৎসবের মূলে যে
আনন্দ, সেটা বাঙালি হিসেবে আমাদের সবারই।”
দ্রুত বদলে যাওয়া জীবনে শরৎকাল এলেই বুকের মধ্যে বেজে ওঠে ছুটির বাঁশি। মাঝদরিয়া থেকে আসা হিমেল বাতাসে ভাসে শিউলির গন্ধ। আর নিজকসবা-র উদ্যোক্তারা মেতে ওঠেন দেবীর আবাহনে। আনন্দলোকের সম্পাদক প্রেমেশ গুড়িয়া বলেন, “প্রতিমা, মণ্ডপ--সব কিছুই ক্লাব-সদস্যরা নিজেদের হাতে করেন। পুজোর চার দিনই থাকে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।” |
|
|
|
|
|