|
|
|
|
বাজেট কম, তবে নজর কেড়েছে অভিনব ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
একটু অন্য রকম ভাবনা। নতুন শিল্প-সুষমা। সামাজিক বার্তা। এ সবের জোরেই মেদিনীপুর-খড়্গপুরে এ বার বড় পুজোর পাশাপাশি নজর কাড়ল ছোট বাজেটের পুজোও। ভিড় জমালেন উৎসাহী মানুষ। পরিস্থিতি এমন যে ছোট বাজেটের পুজো কমিটিকেও প্রাইভেট সিকিউরিটি রাখতে হল! এমনই এক পুজোর উদ্যোক্তার কথায়, “দর্শকের স্বাদ পাল্টাচ্ছে। হোক না কম বাজেট, অভিনব ভাবনার টানেই দর্শক ভিড় জমাবে।”
মেদিনীপুর-খড়্গপুর, দুই শহরেই বেশ কয়েকটি বিগ বাজেটের পুজো হয়। তাদের থিমের টানে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়ও হয়। কিন্তু ছোট বাজেটের পুজোর জৌলুস তাতে কমেনি। নতুন নতুন ভাবনাই এর কারণ। রেলশহরের মালঞ্চ বিবেকানন্দপল্লির পুজোয় যেমন লেগেছে নতুনত্বের ছোঁয়া। মণ্ডপের আশপাশে ঝোলানো কয়েকটি প্ল্যাকার্ড। কোনওটিতে লেখা, মোবাইল কানে রাস্তায় গাড়ি চালাবেন না। কোনওটিতে লেখা, ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। ভূমিকম্প বিধ্বস্ত মানুষের প্রতি সহানুভূতির বার্তাও রয়েছে। মালঞ্চরই মহামায়া সেবা সমিতির পুজো মণ্ডপে আবার পাটকাঠির কাজ। প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে নানা ধরনের সব্জি। সে সব দেখতে মানুষের ঢল নামছে রোজই। খড়্গপুরের বাসিন্দা প্রীতম সেনগুপ্ত, স্বর্ণালী সাহা’দের কথায়, “শুধু বড় মণ্ডপ হলেই যে মানুষ খুশি হবে তা নয়। এখন সকলেই নতুন কিছুর খোঁজে। মন্ডপ ছোট হলেও সেখানে সব কাজ নিঁখুত ভাবে তুলে ধরা হলে তাই-ই সকলের নজর কাড়বে।” রেলশহরের মতো মেদিনীপুরেও এ বার বেশ কয়েকটি ছোট বাজেটের পুজো দর্শকের নজর কেড়েছে। যেখানে উঠে এসেছে গ্রাম্য-পরিবেশ।
ক’বছর আগেও মেদিনীপুর শহরের কোতওয়ালি বাজারের পুজোয় সে ভাবে ভীড় হত না। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময়ও অনেকে একবার প্রতিমা দর্শন করতেন, এই যা! কিন্তু এ বার সেখানে দর্শকের ভীড় দেখে আপ্লুত পুজো কমিটির কর্তারাও। কমিটির অন্যতম সদস্য কৌশিল পালের কথায়, “ভাবতেই পারিনি আমাদের পুজো দেখতে মানুষের এই ঢল নামবে। প্রত্যাশা বেড়েছে। তাই আসছে বছর আরও ভাল কিছু তুলে ধরার তাগিদ থাকবেই।” মানুষের স্বাদ যে পাল্টেছে, তা যেন পুজোর রাতে জনতার ঢল থেকেও স্পষ্ট। একটা সময় পুজোর ক’দিন মেদিনীপুরের রাঙামাটি, বার্জটাউন, কেরানীতলা’র মতো এলাকাতেই ভীড় চক্কর কাটত। আর এখন সেখানে সিপাই বাজার থেকে নতুন বাজার, ক্ষুদিরামনগর থেকে নজরগঞ্জ, ভীড় চক্কর কাটছে শহরের সর্বত্রই। একই পরিস্থিতি খড়্গপুরেও। |
|
|
|
|
|