ভিয়েতনামে রওনা হলেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা
পুজো দেখে ফেরার পথে পুলিশের হাতে মার খেলেন অতনু
ভিয়েতনামের হোচিমিন সিটিতে আইডিসি কাপে প্রথম ম্যাচে ফেড কাপ ফাইনালের দলটির অনেক বদল আনছেন ট্রেভর মর্গ্যান।
সন্দীপের বদলে অভ্র, সৌমিকের বদলে রবার্ট, মেহতাবের বদলে সুশান্ত, রবিনের বদলে গাও। মোটামুটি এই ভেবে যাচ্ছেন তিনি। তবে ওখানে গিয়ে আরও বদল হতে পারে। নবমীর মাঝরাতে সিঙ্গাপুর রওনা হল ইস্টবেঙ্গল। সিঙ্গাপুর হয়ে হোচিমিন সিটি পৌঁছবে সকাল দশটা নাগাদ। মর্গ্যান ভিয়েতনামের দল সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়েছেন মোহন-কোচ ডার্বির কাছে।
ভিয়েতনাম যাওয়ার আগের দিন কলকাতার রাস্তায় পুলিশের হাতে প্রহৃত হলেন ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্য। অষ্টমীতে রাত্রি আড়াইটে নাগাদ মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময়। প্রকাশ্য রাস্তায় বেশ কিছু পুলিশ কর্মী অতনুকে এমন মারে, রক্ত বেরিয়ে যায় এশীয় অলস্টার গোলকিপারের। তাঁর গাড়ির সামনের উইন্ড স্ক্রিন ভেঙে দেওয়া হয় লাঠি দিয়ে। অতনুর মতো শান্ত লোকের হেনস্থায় ফুটবল মহলে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
যোধপুর পার্কে থাকেন অতনু। যোধপুর পার্কে পোস্ট অফিসের উল্টো দিকের গলি দিয়ে ঢুকতে হয়। পুজোর জন্য ওই গলি বন্ধ করে রেখেছিল পুলিশ। অতনু নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেন, সেই পথে যেতে দেওয়ার জন্য। তখন বেশি গাড়ি ছিল না। পুলিশ তাতে রাজি হয়নি। অতনু বলেন, “ওরা অকথ্য গালাগাল দিচ্ছিল। কথা বলতে বলতেই কয়েক জন পুলিশ এসে আমায় ঘুসি মারে। আমার গাড়ির কাচ ভেঙে দেয় পুরোপুরি। আমার নাকমুখ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছে দেখে মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। আমি বুঝলাম না, আমাকে যেতে দিতে ওদের আপত্তি থাকতে পারে। কিন্তু এ ভাবে কলকাতার রাস্তায় মারধর করা হবে কেন?”
ওই অবস্থাতেই ভাঙা গাড়ি নিয়ে রক্তাক্ত অতনুকে আরও অনেক দূর যেতে হয়। তার পরে বাড়ি। ভিয়েতনামে যাওয়ার জন্য এ দিন প্র্যাক্টিস ছিল না বলে রক্ষে। অতনু এ দিন পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। মোবাইলে ছবি তুলে রেখেছেন। সে সবও দিয়েছেন। গাড়ি ঠিক করার জন্য হাজার পঁচিশেক টাকা লাগবে, সেটাও দাবি করেছেন তিনি। পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছেন। দোষী পুলিশদের কাউকে চিনতে পেরেছেন? অতনু বলেন, “অধিকাংশেরই নাম ছিল না। এদের মধ্যে এক জন প্রীতম দাশগুপ্ত নামে ট্রাফিক অফিসার ছিলেন। উনিই দলবল নিয়ে ঝাঁপান। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হেনস্থা করেছেন। আমি পরিচয় দেওয়ার পরেও এ রকম হল। তা হলে সাধারণ লোকের কী হবে?” অতনু ভিয়েতনাম যাওয়ার আগে কথা বলেন কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার ট্রাফিক সুপ্রতীম সরকারের সঙ্গেও। তাঁর বাড়িতে পুজোর মধ্যেও নেমে এসেছে আতঙ্কের ছায়া। সুপ্রতীমবাবু ঘটনার কথা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। বলেন, “ঘটনাটা খুবই দুঃখজনক। দোষীদের চিহ্নিত করতে সমস্যা হবে না।”


বিদেশি দলের বিরুদ্ধে ইস্টবেঙ্গল
ম্যাচ জয় ড্র হার
১৭২ ৭২ ২৯ ৭১

শুধু প্রদর্শনী ম্যাচে
ম্যাচ জয় ড্র হার
২৪ ১৩ ৫ ৬
বিদেশের মাটিতে টুর্নামেন্টে
১৯৫৩: ইউথ ফেস্টিভাল ফুটবল টুর্নামেন্ট, বুখারেস্ট - চতূর্থ
১৯৯১:
বিটিসি কাপ, ঢাকা - সেমিফাইনাল
১৯৯৩:
ওয়াই ওয়াই কাপ, নেপাল - চ্যাম্পিয়ন
১৯৯৬:
কোকা কোলা কাপ, নেপাল - সেমিফাইনাল
২০০৩:
আশিয়ান কাপ, জাকার্তা - চ্যাম্পিয়ন
২০০৪:
লেস্টারশায়ার টুর্নামেন্ট - চতূর্থ
২০০৪-০৫:
স্যাম মিগুয়েল কাপ, নেপাল - চ্যাম্পিয়ন
মোহনবাগান
• মোহনবাগান বিদেশে কোনও ট্রফি পায়নি

• বিদেশি দলের বিরুদ্ধে মোহনবাগান প্রতিযোগিতা
মূলক ম্যাচ খেলেছে ৮৫। জয় ৩২। ড্র ১৮। হার ৩৫ ।


• মোহনবাগান বিদেশি দলের বিরুদ্ধে
প্রদর্শনী খেলেছে ৮০। জয় ৩৯। ড্র ১৫। হার ২৫।

তথ্য: হরিপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.