|
|
|
|
বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুজোর ক’দিন কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। অন্য বছরের থেকে পথে যানজটও ছিল কম। প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর থাকায় শান্তিতেই পুজো কেটেছে মেদিনীপুর-খড়্গপুর শহরে। কিন্তু বিসর্জন? শোভাযাত্রা করে বিসর্জনের রেওয়াজ রয়েছে দুই শহরেই। শোভাযাত্রায় শব্দদানবের তাণ্ডবের আশঙ্কা থাকেই। মাঝেমধ্যে দুই পুজোকমিটি বা এক পাড়ার সঙ্গে অন্য পাড়ার সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এ বার সেই নিরঞ্জন-পর্বও নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট প্রশাসন। তিন দিনের মধ্যে দুই শহরের সমস্ত প্রতিমার নিরঞ্জন দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। মেদিনীপুরের মহকুমাশাসক সুরজিৎ রায় ও খড়্গপুরের এসডিপিও দীপক সরকারের বক্তব্য, “দ্বাদশীর মধ্যেই সমস্ত প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিসর্জনকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শব্দ-নিয়ন্ত্রণেও নজরদারি চলবে।” সাধারণত, মেদিনীপুর শহরের প্রায় সব প্রতিমারই বিসর্জন হয় কাঁসাই নদীর গাঁধীঘাটে। আগেই ঘাটের রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। আলোর ব্যবস্থা হয়েছে। বেশিরভাগ পুজো-কমিটিই এলআইসি চক, রাজাবাজার, গোলকুঁয়াচক, কর্নেলগোলা, বড়বাজার হয়ে গাঁধীঘাটে যায়। খড়্গপুরেরও সিংহভাগ প্রতিমা বিসর্জন হয় কাঁসাই নদীতেই। এর বাইরেও খড়্গপুরের মন্দিরতলা, পুরাতন বাজার ও রেলের পুকুরেও কিছু প্রতিমার বিসর্জন হয়। দুই শহরের যে রাস্তাগুলি হয়ে শোভাযাত্রা যাবে সেই সব রাস্তা জুড়েই পুলিশ মোতায়েন থাকবে। বিসর্জন-ঘাটে থাকবে আধা-সামরিক বাহিনী। ভাল শোভাযাত্রা ও শান্তিপূর্ণ বিসর্জনের জন্য আবার মেদিনীপুর পুরসভা পুরস্কার দেয়। গোলকুঁয়াচকে পুর-প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকেন। খড়্গপুর পুরসভাও শহরের পুজো নিয়ে সার্বিক প্রতিযোগিতা করে।
|
|
|
|
|
|