ইলিশের আঁশ। সোনার মোহর
আহা, এক জীবন নানান স্বাদের যে কী আনন্দ! অমলাশঙ্কর
আমার জন্ম বাংলাদেশের যশোর জেলার বাটাজোর গ্রামে। চার ভাই, ছ’বোনকে নিয়ে জনা সতেরোর একটা একান্নবর্তী পরিবার ছিল আমাদের। থাকতাম কুঁড়েঘরে। মাটির দেওয়াল, খড়ের চাল। বাড়ির পুব দিক দিয়ে বয়ে যাচ্ছে নব গঙ্গা। বাবা ছিলেন শ্রীঅরবিন্দের শিষ্য। তাই আমরা খদ্দর ব্যবহার করতাম। শীতকালে ঘুম থেকে উঠে চোখমুখ ধুয়ে গায়ে খদ্দরের চাদর জড়িয়ে ছোট্ট বেতের ঝুড়িতে বাড়িতে ভাজা মুড়ি আর খেজুরের শক্ত গুড় নিয়ে চলে যেতাম নদীর ঘাটে। যাওয়ার সময় গাছের শুকনো পাতা কুড়িয়ে নিতাম। বাড়ির গাছ থেকে তুলতাম মিষ্টি আলু আর কড়াইশুঁটি। ঘাটে সূর্যের আলোতে বসে শুকনো পাতাগুলো জ্বালাতাম। ওই আগুন ধরানো পাতার মধ্যে ফেলে দিতাম আলু, কড়াইশুঁটিগুলোকে। মুড়ি-গুড় খাওয়া শেষ হলে আগুনে পোড়া সেই মিষ্টি আলু আর কড়াইশুঁটিগুলো খেতাম। সব শেষে আসত খেজুরের রস। তার পর বাড়িতে ফিরে চাটাই, স্লেট আর আগুনে পোড়ানো খড়িমাটির কল নিয়ে যেতাম গ্রামের পাঠশালায়। মাস্টারমশাই ছিলেন জাতে নাপিত। বয়স ৯৮ বছর।
দুপুরে বাড়িতে ফিরে নদীতে স্নান করতাম। তার পর খাওয়াদাওয়া লাল চালের ফেনা ভাত, ঘরে তৈরি ঘি, একটু আলুভাতে বা কাঁঠালের বিচি ভাতে। তবে উচ্ছে, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, কাঁচকলার মতো বিভিন্ন সব্জি যে রান্না হত না, তা নয়। সবই কমবেশি খাওয়া হত। শীতকালে পেঁয়াজকলি, কাঁচালঙ্কা, সরষের তেল দিয়ে ছোট ট্যাংরা মাছের যে বাটিচচ্চড়িটা হত, সেটা খেতে বেশ লাগত। এই বাটিচচ্চড়িটা অবশ্য আমি এখনও খাই। আমাদের বাড়িতে মাটির বড় জালায় কই, শিঙি, মাগুর সারা বছর জিয়ানো থাকত। বাড়িতে প্রচুর কয়েতবেল আসত। মাঝে মধ্যেই দুপুরের শেষ পাতে আমরা খুব মজা করে কয়েতবেল মাখা খেতাম। আর সারা দিন ধরে গাছের টাটকা ফল-মূল খাওয়া তো ছিলই।
প্রতি বছর নদীতে প্রথম যে দিন ইলিশ মাছ ধরা পড়ত, সেই মাছ পুরো পাড়ার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হত। এমনকী একটা মাছ উঠলেও তাই। মাছের ওই আঁশ আমরা বাস্তুভিটেতে মাটি খুঁড়ে রেখে দিতাম, ওটা সোনার কয়েন হয়ে যাবে এই আশায়। কালোজিরে-কাঁচালঙ্কা, কাটোয়ার ডাঁটা আর কাঁঠালের বিচি দিয়ে ইলিশের পাতলা ঝোল হত। কখনও আবার ঝোলটা হত কুমড়ো দিয়ে। কী স্বাদ তার! ইলিশ মাছের তেল দিয়ে ভাত মেখে ভাজা ইলিশও খেতাম। এখন আর ইলিশের সে স্বাদ নেই। খেতে ভাল লাগে না।
আমি ওয়েস্টার্ন ডিশ খুব ভাল করতাম। যেমন রোস্ট চিকেন, গ্রিলড চিকেন, মুরগির ডিমের কুসুম দিয়ে রিয়েল মেয়োনেজ ফ্রেঞ্চ সালাদ ইত্যাদি। বিভিন্ন ইউরোপিয়ান ডিশও করেছি। বড় বড় গভর্নররেরা সে সব খেয়েছেন। পোস্ত দিয়ে খাসির মাংস আমার একটা বিশেষ রান্না। এক বার তো একটা পিকনিকে চল্লিশ জনের জন্য সাত কেজি মাংস রান্না করেছিলাম। তার সঙ্গে করেছিলাম ফ্রেঞ্চ সালাদ। এখন আর মাছ-মাংস সে রকম ভাল লাগে না। কচুর শাক, লাউয়ের ঘণ্ট আমার প্রিয়। শুক্তোও পছন্দের পদ। তবে খেতে ভাল হতে হবে। গরমকালে দুপুরবেলা পান্তাভাত পাতিলেবু দিয়ে মেখে রসা কাঁঠাল দিয়ে খাই। আর শীতের দুপুরের খাওয়া হল বাসি ভাত, মুগ বা মুসুরির শুকনো ডাল আর কাঁচালঙ্কা, পেঁয়াজ, সরষের তেল দিয়ে বেগুন পোড়া। ফলটা আমি সব সময়ই খাই। যদিও এখনকার ফল আর সে রকম খেতে ইচ্ছে করে না। এক বার রবিশঙ্করের স্ত্রী অন্নপূর্ণা রসুন বাটা দিয়ে পাঁচমিশালি একটা দারুণ চচ্চড়ি খাইয়েছিল।

শুক্তো
করতে লাগবে: উচ্ছে, আলু, কাঁচকলা, বেগুন, বরবটি, মুলো, সিম, সজনের ডাঁটা, আদা, বড়ি, সর্ষের তেল, রাঁধুনি, সর্ষে, নুন, হলুদ, তেজপাতা, চিনি।
প্রথমে সব আনাজগুলো কেটে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। কিছুটা রাঁধুনি, আদা সর্ষে বেটে রাখুন। বড়ি আর উচ্ছেটা ভেজে নিন। গরম কড়াইয়ে তেল দিয়ে ক’টা তেজপাতা ও সামান্য সর্ষে ও রাঁধুনি (ফোড়ন হিসেবে) দিয়ে দিন। এর পর উচ্ছে বাদে বাকি আনাজগুলো কড়াইয়ে দিয়ে নুন-হলুদ ফেলে একটু ভেজে নিন। উচ্ছে, বড়ি, আদা আর রাঁধুনি বাটা দিয়ে ভাল করে কষুন। সামান্য একটু চিনি দিন। পুরো জিনিসটা নাড়িয়ে পরিমাণ মতো জল দিন, দিন সর্ষে বাটা। একটু নাড়াচাড়ার পর কড়াইয়ের ওপর ঢাকা দিয়ে দিন। ফুটে গেলে নামিয়ে নিন।

পোস্ত মাংস
করতে লাগবে: খাসির মাংস, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, সর্ষের তেল, পোস্ত, জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা, নুন, হলুদ, চিনি।
খাসির মাংস বড় বড় টুকরো করে ধুয়ে নিন। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পোস্ত, জিরে ও শুকনো লঙ্কা বাটুন। গরম কড়াইয়ে তেল দিন। পেঁয়াজ, আদা, রসুন, পোস্ত, জিরে ও শুকনো লঙ্কা বাটা দিন। একটু কষার পর দিন মাংস, সঙ্গে নুন, হলুদ, অল্প চিনি আর ক’টা তেজপাতা। মাংসটা ভাল করে কষা হয়ে গেলে কড়াইয়ে অল্প করে জল দিয়ে ঢাকা দিন। মাংসটা সেদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গা-মাখা ঘন ঝোল তৈরি হবে।

খাওয়াবদল

চটজলদি টিফিন

আগডুম বাগডুম ঘোড়াডুম সাজে
ডগি গেছে ঠাম্মির কাজে।

ছড়া বলতে বলতে নাতি ছুটে এসে জড়িয়ে ধরল। স্কুলে ছুটি হয়েছে, লাফাতে লাফাতে এল। জিজ্ঞেস করলাম খুশি কেন রে? সে বলল, ‘ঠাম্মি, আজও বন্ধুদের সঙ্গে টিফিন খেয়েছি। কাল আমি ওদের খাওয়াব।’ আমি বললাম, বেশ তো। বানিয়ে দেব। ‘তিন রকমের টিফিন চাই।’ এসে গেল আইডিয়া।
রুটি সাপ্টা: গত রাতের চারটে রুটি, চারটে ডিম, পেঁয়াজ কুচি, পরিমাণ মতো নুন ও সাদা তেল। একটা ডিম গুলে, পেঁয়াজ ও নুন দিয়ে ফ্রাইপ্যানে ওমলেটের মতো ছড়িয়ে রুটিটা তার উপর দিয়ে ভেজে নিতে হবে। একই পদ্ধতিতে আরও তিনটি ভেজে নিয়ে শশা ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে এগ রোলের মতো মুড়ে দিতে হবে।
ব্রেড মোগলাই ব্রেড পকোড়া: দুটোর একই উপকরণ। এক স্লাইস ব্রেড। ব্রেডের লাল অংশ ফেলে দিয়ে পেঁয়াজ ও আদা ঘষা, ধনেপাতা কুচি, চারটে ডিম, পরিমাণ মতো লবন, একটু মিট মশলা। ব্রেড জলে ভিজিয়ে নরম করে সব উপকরণ দিয়ে চটকে নিতে হবে। ব্রেড মোগলাই: অর্ধেক নিয়ে একটি মণ্ড বানিয়ে ফ্রাইপ্যানে সাদা তেল দিয়ে মোটা পরোটার আকারে ভেজে, ভাজাটি ছুরি দিয়ে কেটে চার পিস করতে হবে। ব্রেড পকোড়া: বাকি অংশটায় অল্প বেসন মিশিয়ে গোল গোল পকোড়ার আকারে ফ্রাইপ্যানে তেল দিয়ে ভেজে নিতে হবে। শশা, পেঁয়াজ ও সামান্য সস বা আচার দিলে ভাল হয়।
অমিতা দাস। কলকাতা-২৮

এখন থেকে ‘খাওয়াবদল’-এ পাঠাতে পারেন
মজার মজার রেসিপি। শব্দসীমা: ২০০। পাঠান:

খাওয়াবদল, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১

সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ কর
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের
কানের রকমসকম: ‘ছত্রাক’ ছবিতে পাওলি দামের শয্যাদৃশ্য কান চলচ্চিত্র উৎসবে ছেঁটে ফেলা হয়েছে, কিন্তু কলকাতায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে ‘দৃশ্যটি আছে নাকি আপনার মোবাইলে?’
শ্রবণা সেনগুপ্ত। সাহাগঞ্জ

মহাকরণে সর্বদল বৈঠকের পর ‘দিদি’র পাশে ‘হাসিমুখ ভাই’ সূর্যবাবুর ছবি কাগজে দেখে সিপিএমের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে: কেন সূর্য ও-ভাবে হাসবে? লে ঠেলা! এক সময় আপনারাই তো টেগোরকে কোট করে বলতেন, ‘মেঘ দেখে করিস নে ভয়, মেঘের আড়ালে সূর্য হাসে’! যা-ই হোক, আপনাদের কাছে অনুরোধ, পুজোর ক’দিন অন্তত ‘সূর্য’কে হাসতে দিন। নইলে ‘মা’-এর পুজোয় ‘মানুষ’-এর সব আনন্দ ‘মাটি’ হয়ে যাবে!
সুশান্ত ঘোষাল। কালনা

ডাক্তারবাবুরা বলেন সব সময় হাসিখুশি থাকলে মন-শরীর-স্বাস্থ্য সব ভাল থাকে। ভূতপূর্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাক্তার সূর্যবাবু সেটাই নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে বিস্তর প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছেন। সূর্যবাবু, আপনার মুখের হাসি যারা কেড়ে নিতে চায়, তাদের মন রাখতে আপনি মুখের হাসি মনে ঢুকিয়ে নিয়ে মনে মনে হাসুন, মন ভাল থাকবে!
গৌতম মুখোপাধ্যায়। খড়দহ

‘টাই’ নিয়ে বাচ্চাদের মতো কাঁদব না ধোনির এই মন্তব্যে বাচ্চাদের আঁতে ঘা লেগেছে। এখন তারা স্কুলে যাওয়ার সময় ‘টাই’ পরা নিয়ে আর কান্নাকাটি করছে না!
দেবব্রত ঘোষ। সল্টলেক

চোট পাওয়া ক্রিকেটারদের নিয়ে এখনই কোনও টুর্নামেন্ট হলে ভারতের জয় সুনিশ্চিত। বাকি দেশগুলো হয়তো এগারো জন খুঁজেই পাবে না!
সোহিনী দত্ত। কল-৮৬

এ বার পুজোয় সপরিবার চলুন রহস্য রোমাঞ্চে ভরা গা ছমছমে ‘কঙ্কালপুর’-এ। অগ্রিম বুকিং চলিতেছে। সুশান্ত ঘোষ পরিচালিত ‘হোটেল স্কেলিটন’-এ থাকার সুব্যবস্থা আছে।
সমীর সরকার।

রাজ্যে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী বা বিধায়কদের ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনে সক্রিয়তা চোখে পড়ুক আর না-ই পড়ুক, সমর্থকরা ‘শাসন ব্যবস্থা’ ঠিক রাখতে যে যথেষ্ট সচেতন এবং সক্রিয়, সেটা পাড়ায় পাড়ায় বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে!
মণীশ টিকাদার। বকচরা

প্রাণী বিজ্ঞানীদের কাছে অনুরোধ, দয়া করে ইলিশের ক্লোন করুন!
সুজিত পাল। শ্রীকলোনি

ট্রেনের বাতানুকূল কামরায় ছারপোকারা রিজার্ভেশন চায়!
অসিত দত্ত। হাওড়া-২
জানা ছিল যুব মনে তাজা!
এরা গাঁজাখোর রানি, রাজা।
হল জুড়ে এমনই সে নাচ,
ঝনঝন জানালার কাচ!
মন্ত্রীর কাছে গেল ফ্যাক্স,
যুব দফতর বড় ‘ল্যাক্স’।
জানে না যে বুকিংটা একেবারে ভুয়ো,
ঘুঁটের মালা নাও আর সঙ্গে দুয়ো।
মুণ্ডহীন মোরগটি আহ্লাদে দু’বছর বাঁচে। না, ভুল পড়ছেন না। গল্পটা আজগুবিও নয়। ঘটনাটা ঘটেছিল আমেরিকার কলোরাডো অঞ্চলে ফ্রুটা নামক জায়গায়। ১৯৪৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ছুরির আঘাতে একটি মোরগের মুণ্ডুটি ধড় থেকে আলাদা হয়ে যায়। কিন্তু এর পরেও মোরগটি প্রায় দু’বছর বেঁচে ছিল। এই অবিশ্বাস্য ঘটনাটা সম্ভব হয়েছিল কারণ, ছুরিটি মোরগটির ঘাড়ের ধমনীটি মিস করেছিল, আর মস্তিষ্কেরও খানিকটা অংশ গলায় লেগে থেকে গিয়েছিল।
তার নাম হয়েছিল মাইক। বলা বাহুল্য তাকে দেখার জন্য দেশের জনগণের উৎসাহের অবধি ছিল না। গোটা দেশ জুড়েই মাইক-এর নাম ছড়িয়ে পড়েছিল। যাকে বলে, সে একটা জাতীয় তারকা টাইপের হয়ে উঠেছিল। বিখ্যাত ‘টাইম’ আর ‘লাইফ’ এই দু’টি ম্যাগাজিনেই তার কাহিনি ছাপা হয়েছিল। যা একটি মোরগের পক্ষে খুবই গুরুত্ব আর সামাজিক সম্মানের ব্যাপার।
তখনকার দিনেই মাইক-এর মালিক লয়েড অলসেন এক বার মাইককে দেখার জন্য দর্শকদের কাছ থেকে ২৫ সেন্ট করে নিতেন। দেশ জুড়ে লোকে ভিড় করে ‘মুণ্ডহীন আশ্চর্য মোরগ মাইক’-এর শো দেখতে আসতেন। তখন মাইক-এর মাথায় একটা শুকনো মুরগির মাথা বসিয়ে দেওয়া হত। আসলে অরিজিনাল মাথাটা নিয়ে অলসেনদের বেড়াল কেটে পড়েছিল।
খ্যাতির চূড়ায় মাইক মাসে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ডলার রোজগার করছিল। তার বাজারদর উঠেছিল ১০ হাজার ডলার। মাইক বেঁচে থাকার ফলে বহু মোরগের গলা কাটা পড়েছিল আর একটি বিস্ময়ের এবং তার থেকে রোজগারের আশায়! যে ড্রপার দিয়ে ওকে খাওয়ানো হত, সেটাই ভুলে গলার মধ্যে রেখে দেওয়ায় মাইক মারা যায়।
তথ্যসূত্র: দ্য বুক অব জেনারেল ইগনোরেন্স
পলিটব্যুরোর পলাইট বুড়োদের গুস্সা
কিঁউ আতা হ্যায়: বুদ্ধবাবুর গরহাজিরা!

সমীরণ দত্ত, সোনামুখী
ক্ষমা করিনি
আমার বাবা যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেখানে তাঁর ছোট ভাইকে চাকরিতে পেতে সাহায্য করেন। কাকার বিয়ের ১৮ বছর পর সম্পত্তিগত অশান্তির জেরে কাকা সেই উপকারের কথা ভুলে গিয়ে ৬২ বছরের বৃদ্ধ দাদার চরিত্রে কলঙ্ক দিয়ে (স্ত্রী প্ররোচনায়) থানায় ডায়েরি পর্যন্ত করেন। ইতিমধ্যে কাকার মেয়ের বিয়ের বন্দোবস্ত হওয়ায়, পুরনো অশান্তিকে ঢেকে নাটকীয় ভাবে, বিয়েতে সাহায্য নেওয়ার জন্য কাকিমা উভয় পরিবারের নতুন বন্ধন তৈরি করল। কিন্তু মেয়ের বিয়ের কিছু দিন পর খোলস ছেড়ে তারা পুরনো জায়গায় হাজির। ইতিমধ্যেও বাবা শান্তির জন্য সমস্ত সম্পত্তি ফেলে বাড়ি পরিবর্তন করলেন। তাতেও কাকা-কাকির ঈর্ষা মিটল না। পুরনো অশান্তির জেরে এক দিন রাস্তায় ফেলে কাকা তার ৬৭ বছরের বৃদ্ধ দাদাকে অমানুষিক প্রহার করল। বাবা চিকিৎসাধীন হলেন। এত উপকার নেওয়া সত্ত্বেও এত অকৃতজ্ঞ কাকা-কাকিমাকে কোনও দিন ক্ষমা করতে পারব না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর ২৪ পরগনা

মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর
নতুন বিভাগ। চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম।
এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের।

ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.