ফুলহারের জলে বন্দি
পুজোর দু’দিন আগে তৃতীয় দফায় মালদহের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরে ৩০টি গ্রাম প্লাবিত করে বাসিন্দাদের দুর্ভোগের মুখে ফেলে দিয়েছে ফুলহার। দু’দফা বন্যার জেরে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দারা সবেই ঘরে ফিরেছিলেন। প্লাবনে সব হারানোর যন্ত্রণা ভুলে মেতেছিলেন আনন্দে। ঠিক ওই সময়ই ফের ফুলহারের জলস্ফীতিতে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করতে হচ্ছে তাঁদের। ৫০টি পরিবার ইতিমধ্যে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেয়। তৃতীয় দফায় সোমবার সন্ধ্যা থেকেই ফুলহারের জল বাড়তে শুরু করে। বুধবার সকালেই নদীর জলস্তর বিপদসীমা ছাড়িয়ে যায়।
ফুলহারের জলে প্লাবিত রতুয়া। ছবি: বাপি মজুমদার।
বৃহস্পতিবার অনেকটাই বেড়েছে ফুলহারের জলস্তর। এদিন ওই নদী অসংরক্ষিত এলাকায় বিপদসীমার ৪৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। ফুলহারের জলস্তর ব্যাপক বাড়ায় রতুয়া-১ ব্লকের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০টি গ্রাম ফের প্লাবিত হয়েছে। ডুবে গিয়েছে এলাকার পথঘাট। ওই এলাকাগুলির খেতের ফসল আগেই ডুবে নষ্ট হয়েছে। এ বার এলাকার কলাই চাষও ডুবে গিয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সিকিম ও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পর আপার ক্যাচমেন্টের ওই জল নামতে শুরু করায় ফুলহারের জল বাড়ছে বলে সেচ দফতর জানিয়েছে। সেচ দফতরের মালদহ নর্থ সেন্ট্রাল সার্কেলের সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়র সন্দীপ দে বলেন, “আপার ক্যাচমেন্টে জল নামতে শুরু করায় ফুলহারের জল বাড়ছে। তবে গত দুদিনের তুলনায় নদীর জলস্তর বৃদ্ধির গতি অনেকটাই কম। আপার ক্যাচমেন্টে বৃষ্টি না হলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে।” রতুয়া-১-এর বিডিও পার্থ দে ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের বিডিও ঋতম ঝা বলেন, “প্রকৃত দুর্গতরা যাতে ত্রাণ পান সেটা দেখা হচ্ছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.