|
|
|
|
দেওয়াল ধসে জখম মহিলা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
সুসংহত বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে নির্মীয়মাণ একটি বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ে এক মহিলা গুরুতর জখম হয়েছেন। বুধবার রাতে শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে নতুনপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। ওই ঘটনায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলেছে পরিবারের লোকেরা। জখম মহিলার নাম সাবিত্রী কর্মকার। পরিবারের লোকদের দাবি, নাম মাত্র সিমেন্ট দিয়ে গাঁথনি করা হচ্ছে। বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে বাড়িটির নির্মাণ কাজ চলায় পাশেই চালা ঘর করে থাকছেন তাঁরা। নির্মাণকাজের জায়গা দিয়েই শৌচাগারে যাতায়াত করেন। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা নাগাদ শৌচাগারে বালতিতে জল ভরে ফেরার সময় নির্মীয়াণ অংশের দেওয়াল ধসে পড়ে মহিলার উপর। মুখে, কাঁধে, হাতে গুরুতর আঘাত পান। রাতে শিলিগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এ দিন সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছে তাঁকে। |
|
শিলিগুড়ির নতুনপাড়ায় ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বাড়ি। ছবি: সন্দীপ পাল। |
মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। পুরসভার বাস্তুকারদের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। কেন এমন হল তা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পূরসভার বস্তি উন্নয়ন বিভাগের মেয়র পারিষদ সঞ্জয় পাঠক অবশ্য জানান, তাঁর দফতরের অধীনে কাজ হলেও পুরসভার পূর্ত বিভাগ থেকেই প্রকল্পে বাড়ির নির্মাণ কাজের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “ঠিক কী কারণে দেওয়াল ভেঙে পড়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিম্নমানের কাজের প্রমাণ পেলে ঠিকাদার এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভূমিকম্পের পর বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে নির্মীয়মাণ সমস্ত বাড়ির কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। সেগুলির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না দেখে তার পরেই কাজ শুরু করা হবে। তা ছাড়া নির্মীয়মাণ বাড়ির কাজ শেষ না-হওয়া পর্যন্ত সেখানে যাওয়া ঠিক নয়।” সাবিত্রী দেবীর স্বামী আনন্দবাবুর অভিযোগ, নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। দিন ১৫ আগে দেওয়ালটি বানানো হয়েছিল। অথচ ওই দিন আচমকা স্ত্রীর উপর দেওয়ালের একাংশ ধসে পড়ে। পুরসভার তরফে লোকজন দেখতে গেলে তাদের কাছে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “বস্তি উন্নয়ন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষকে আমরাও বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছি।” |
|
|
|
|
|