|
|
|
|
ধর্মঘট, নেই গ্যাস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বোনাস বাড়ানোর দাবিতে তৃণমূল প্রভাবিত ট্রাক চালক সংগঠনের ধর্মঘট শুরু করায় শিলিগুড়িতে রান্নার গ্যাসের আকাল দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ধর্মঘটে নেমেছে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত রান্নার গ্যাস সরবরাহকারী ট্রাক চালক সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, ১১ শতাংশ হারে বোনাস বাড়ানোর দাবি করলেও মালিকপক্ষ মানতে নারাজ। তারা সাড়ে ১০ শতাংশ হারে বোনাস বাড়াতে চান। চালক সংগঠনের পক্ষে হারাধন সরকার বলেন, “যে হারে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেদিকে নজর রেখে দাবি যাতে মানা হয় সে কথা মালিকপক্ষকে জানিয়েছি। শ্রমিকরা প্রথমে ২০ শতাংশ হারে বোনাসের দাবি করলেও পরে তা থেকে সরে আসে। তাই মালিকপক্ষের দাবি মানা উচিত।” আইওসি’র শিলিগুড়ির এরিয়া মানেজার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরবরাহ স্বাভাবিক করার আমরা চেষ্টা করছি। বিষয়টি নিয়ে মহকুমাশাসক ও দুটি সংগঠনের সঙ্গে কথা বলেছি। আজ, শুক্রবারের মধ্যে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি। না হলে মালদহ বটলিং প্ল্যান্ট থেকে গ্যাস সিলিণ্ডার এনে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।” ট্রান্সপোটার্স সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, তারা সাড়ে ১০ শতাংশ হারে বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তা তারা যে কোনও মুহূর্তে দিতে রাজি আছেন। সংগঠনের পক্ষে বিজয় গোয়েল বলেন, “গত বছর ৯ শতাংশ হারে বোনাস দেওয়া হয়েছে। এবার তা সাড়ে ১০ শতাংশ করা কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরেও সেটা তারা মানতে চাইছি না। বার বার ধর্মঘট তোলার আবেদন করা হলেও চালকরা তা মানতে চাইছেন। ব্যবসা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” ইন্ডিয়ান অয়েল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে বোনাস নিয়ে ট্রাক চালক-মালিক পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ধর্মঘটে যাওয়ার ফলে রানিনগর বটলিং প্ল্যান্ট থেকে সিলিন্ডার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সলিন্ডারের গাড়ি ডিলারদের গুদামে যায়নি। আগাম বুকিং করেও পুজোর মুখে গ্যাস না পাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন গ্রাহকরা। নর্থবেঙ্গল এলপিজি ডিস্ট্রিবিউটর্স সংগঠনের সম্পাদক কৌশিক সরকার বলেন, “ধর্মঘটের জেরে এদিন কোনও গুদামেই গ্যাস সিলিন্ডার পৌঁছায়নি। অথচ পুজোর মুখে গ্রাহকদের মধ্যে সিলিন্ডারের ব্যপাক চাহিদা রয়েছে। প্রচুর পরিমান গ্রাহক বিভিন্ন জায়গায় ভিড় করছে। এ ছাড়া পুজোয় গুদাম কর্মীরাও ছুটিতে যাবে তার আগেই সিলন্ডার সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু ধর্মঘট শুরু হওয়ায় কীভাবে কাজ করব বুঝতে পারছি না।” |
|
|
|
|
|