রাজ্য সরকারের মৎস্য সমবায় সংস্থা ‘বেনফিস’-এর চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরিকে। ওই সংস্থার অভ্যন্তরে নানা দুনীর্তির অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অখিলবাবুকে বৃহস্পতিবার মহাকরণে ডেকেও পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে জানিয়ে দেন, যে সমস্ত অভিযোগ উঠেছে তা তদন্ত করা হবে। এরপরেই রাজ্য সরকারের পক্ষে মৎস্যমন্ত্রী আবু হেনা জানান, অখিলবাবুকে বেনফিসের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল-কংগ্রেস জোট সরকারে আসার পরেই পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরের বিধায়ক অখিলবাবুকে বেনফিসের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল। কিন্তু মৎস্য দফতর সূত্রে খবর,অখিলবাবু চেয়ারম্যান হওয়ার পরই বেনফিসের অভ্যন্তরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। কর্মী মহলেও তাঁর কাজকর্ম নিয়ে অসন্তোষ দেখা দেয়। রাজ্য সরকারের কাছে চেয়ারম্যানের কাজকর্ম নিয়ে কিছু অভিযোগও আসে। সর্বোপরি সম্প্রতি হোটেলমালিকদের কাছ থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগে ধৃত তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা সুশান্ত পাত্রকে দিঘা থানা থেকে অখিলবাবুর উপস্থিতিতে দলীয় কিছু কর্মী-সমর্থক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় মমতা অত্যন্ত বিরক্ত হন। তবে অখিলবাবু এ দিন বলেন, “দিঘা থানার ঘটনার সঙ্গে বেনফিসের ঘটনার কোনও সম্পর্ক নেই। ওটা রাজনৈতিক ব্যাপার। আর বেনফিসের ব্যাপারটা তো সরকারি ব্যাপার। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বেনফিসের দুনীতি নিয়ে তদন্ত হবে। এ জন্য তদন্ত কমিশন হবে। তাই বেনফিসের বোর্ড ভেঙে দিতে হবে।”
অখিলবাবুকে সরিয়ে চেয়ারম্যান করা হয়েছে মৎস্য দফতরের সচিব সৈয়দ আহমেদ বাবাকে। মৎস্যমন্ত্রী জানান, এ দিন বেনফিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকেও বদল করা হয়। বেনফিসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর জায়গায় অস্থায়ী ভাবে ম্যানিজিং ডিরেক্টর করা হয়েছে বেনফিসেরই ডিরেক্টর ভরত শাহকে। মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “শান্তনুবাবু অবসর গ্রহণের পরেও তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু সেই মেয়াদও শুক্রবার শেষ হয়ে যাচ্ছে। সেই কারণেই বেনফিসের ডিরেক্টরকেই আপাতত ম্যানেজিং ডিরেক্টরের কাজ চালাতে বলা হয়েছে।” চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পর্কে মৎস্যমন্ত্রী অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। |