নয়ডার বুদ্ধ সার্কিটে ফর্মুলা ওয়ান রেস শুরুর এক মাস আগেই দিল্লির রাজপথে গতির ঝড় তুলতে তৈরি রেড বুল দল। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত রাস্তায় হওয়ার কথা রেড বুলের রোড শো। কিন্তু শুল্ক বিভাগের কড়াকড়ি এবং প্রশাসনিক উদাসীনতায় রোড শো আদৌ করা যাবে কি না, তা নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছে।
রেড বুলের ন্যাশনাল কমিউনিকেশন ম্যানেজার রোহন ভিয়াভহরকর আজ আনন্দবাজারকে জানান, রোড শো-র জন্য দল ভারতে যে গাড়ি পাঠিয়েছে, সেটি বিমানবন্দরেই বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে শুল্ক দফতর। তাঁর কথায়, “ক্রীড়া মন্ত্রক রেসের গাড়ি আনার অনুমতি দেয় না। আমাদের বলা হয়েছে, যতক্ষণ না কোনও কেন্দ্রীয় বা রাজ্য মন্ত্রী গাড়ি ছাড়ার জন্য ব্যক্তিগত গ্যারান্টি-সহ চিঠি দিচ্ছেন, ততক্ষণ গাড়ি ছাড়া হবে না। আমরা কেন্দ্রের আর রাজ্যগুলির মন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলছি। এখন পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র নেই। দুঃখ হচ্ছে কাস্টমসের এক অফিসারের অদূরদর্শিতার জন্যই এই অবস্থা। তবে আশা করছি কালকের মধ্যে আমরা একটা ব্যবস্থা করে নিতে পারব।” ভিয়াভহরকররা কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অজয় মাকেনের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। উল্টে ক্রীড়ামন্ত্রকের যুগ্ম সচিব ইনজেটি শ্রীনিবাসন মাকেনের হয়ে বলেছেন “ফর্মুলা ওয়ানকে আমরা খেলা বলে মনে করি না। তাই এই ব্যাপারের আমরা রেড বুলের প্রতিনিধিদের কোনও রকম সাহায্য করতে পারব না।”
রেড বুলের কর্তারা এখন মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দিল্লির মন্ত্রীদের দুয়ারে দুয়ারে দৌড়াচ্ছেন ‘পার্সোনাল গ্যারান্টির’ জন্য। এক কর্তা তো বলেই দিলেন “এই যদি অবস্থা হয়। তা হলে ৩০ অক্টোবর গ্রেটার নয়ডার বুদ্ধ সাকির্টে ‘ইন্ডিয়ান গ্রাঁ প্রি’ কী ভাবে হবে সেটা ভেবেই ভয় করছে?” বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত যা খবর, তাতে রেড বুলের কর্তারা ইন্দিরা গাঁধী বিমানবন্দরে নিজেদের রেসের গাড়ি ছাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দিকে, রোড শো করার জন্য রেড বুলের রিজার্ভ চালক ড্যানিয়েল রিকিয়ার্ডোর আজ রাতেই দিল্লি পৌঁছনোর কথা। শুক্রবার সকাল এগারোটায় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হবেন বলে সব ঠিক হয়ে আছে। কিন্তু এখন গাড়িই না ছাড়ানো গেলে তাঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না বলে উদ্বেগে কর্তারা। এমনিতে আজই সকাল এগারোটায় রেড বুলের একটি সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। সেটাকে শেষ মুহূর্তে বাতিল করে পিছনো হয়েছে কাল সকাল পর্যন্ত। এ দিকে, এ দিন রিকিয়ার্ডোর সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে উচ্ছ্বাস ঝরে পড়ল তাঁর গলায়। “এই প্রথম ভারতে যাচ্ছি। অসম্ভব উত্তেজিত লাগছে।” রোড শো-র পাশাপাশি দিল্লির আবহাওয়াটাও বুঝে নিতে চান তিনি। বললেন, “বুদ্ধ সার্কিটে কী রকম গরম, কতটা আদ্রতা, সব যাচাই করে নিতে পারব। সেই তথ্যগুলো রেসে আমাদের দারুণ কাজে লাগবে।” |