|
|
|
|
পুজোর থিমে অণ্ণার অনশনও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অণ্ণা হজারের ‘লড়াই’ও এ বার উঠে এল পুজোর থিমে! পুজো-মণ্ডপ যেন নয়াদিল্লির রামলীলা ময়দান। ক’সপ্তাহ আগেই যেখানে অনশনে বসেছিলেন অণ্ণা। এমনকী পুজোর এই থিম-মঞ্চে হাজির কিরণ বেদীর মতো অণ্ণা-সহযোগীরাও। মণ্ডপের চার পাশে অণ্ণ-টুপি মাথায় স্বেচ্ছাসেবকও থাকবেন।
মেদিনীপুর শহরের মহাতাবপুর-নজরগঞ্জ-কালগাং আদি সর্বজনীনের দুর্গাপুজোয় এমনই অভিনব ‘থিম’ এ বার। হাতে সময় নামমাত্র। তাই এখন জোর তৎপরতায় চলছে ‘অনশন মঞ্চ’ থুড়ি ‘মণ্ডপ’ সাজানোর কাজ। হঠাৎ এমন ভাবনা? পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য পার্থনাথ আচার্যের কথায়, “অণ্ণা হজারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন। তাঁর সমর্থনে প্রচুর মানুষ এগিয়ে এসেছেন। আমরাও দুর্নীতি-মুক্ত সমাজ চাই। তাই এই উদ্যোগ।”
শহরের এই পুজোর এ বার ৪২ তম বর্ষ। ক’বছর ধরেই নতুন নতুন ভাবনা হাজির করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে মহাতাবপুর-নজরগঞ্জ-কালগাং আদি সর্বজনীন। উদ্যোক্তাদের আশা, এ বারের থিমও দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে। কারণ, পুজোর সঙ্গেই জুড়ে থাকছে সমাজভাবনা। পুজো কমিটির অন্যতম অর্ঘ্য চট্টোপাধ্যায়েরও কথা, “দুর্নীতি সহজে শেষ হবে না। এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। সব ধরনের মঞ্চকেই সেই লক্ষ্যে ব্যবহার করা উচিত।” প্রতিমায় থাকছে সাবেকিয়ানা। মণ্ডপসজ্জাতে কিন্তু সাম্প্রতিকতা। |
|
মুম্বই গেটের অনুকরণে নজরগঞ্জের মণ্ডপ। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
নজরগঞ্জ সমাজবাড়ি সর্বজনীনের পুজো আবার সমাজকে ‘সন্ত্রাস-মুক্ত’ করার বার্তা দেবে। সন্ত্রাসবাদীরা সুযোগ পেলেই আক্রমণ শানাচ্ছে। বোমা ফেটে মরছেন সাধারণ মানুষ। বারে বারেই উগ্রপন্থীদের ‘সফ্ট টার্গেট’ হচ্ছে দেশের বাণিজ্য-রাজধানী মুম্বই। এ বার এই পুজোয় মুম্বই-গেটের অনুকরণে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তুলসী শাসমলের কথায়, “সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ। বহু নিরীহ মানুষ সন্ত্রাসের শিকার হয়েছেন। অনেক রক্ত ঝরেছে। কিন্তু আর নয়। সর্বত্রই শান্তি বজায় থাকুক।” সমাজবাড়ি সর্বজনীনের পুজোর এ বার ২৬ তম বর্ষ। প্রতিমা সাবেকি। মণ্ডপে মুম্বই-গেটের আদল ফুটিয়ে তুলতে ব্যবহৃত হচ্ছে থার্মোকলের নানা কাজ।
অভিনবত্ব থাকছে রেলশহর খড়্গপুরের পুজোতেও। মালঞ্চর বালাজি মন্দির পল্লি উন্নয়ন সমিতির পুজোয় এ বারের থিম ‘হীরক রাজার দেশ’। উদ্যোক্তাদের আশা, ছোট-বড় সকলেরই নজর কাড়বে এই পুজো। সত্যজিৎ রায়ের সিমেনায় যে দুর্গ রয়েছে, তারই অনুকরণে এখানে মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে। থাকছে রাজার দরবার। এখন মস্ত ব্যস্ত শিল্পীরা। মণ্ডপের মধ্যে সিনেমার কয়েকটি মুহূর্ত তুলে ধরা হবে। এই পুজোর এ বার ৬২ তম বর্ষ। উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক সমীর গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, “নতুন কিছু তুলে ধরার তাগিদ থেকেই আমাদের এই উদ্যোগ।” |
|
|
|
|
|