|
|
|
|
অক্টোবরে ভারতে আসছেন কারজাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
হক্কানি জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ ও তাদের সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগ নিয়ে কয়েক দিন ধরে চাপানউতোর চলছে ওয়াশিংটন ও ইসলামাবাদের মধ্যে। তার মধ্যেই ভারত সফরে আসছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই। অক্টোবরের গোড়ায় ভারতে আসার কথা তাঁর।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর, কারজাইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ নয়াদিল্লির উদ্বেগের কথা তুলে ধরবেন আমেরিকার সুরেই। আফগানিস্তানে কর্মরত প্রায় ছ’ হাজার ভারতীয় এবং ভারতের দূতাবাসের উপর হামলা করতে পারে হক্কানি গোষ্ঠী এমন গোয়েন্দা রিপোর্ট নর্থ ব্লকের কাছে এসেছে। কারজাইকে অনুরোধ করা হবে, বিষয়টির দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে।
তালিবানের বিভিন্ন গোষ্ঠীকে পাক গুপ্তচর সংস্থা প্রত্যক্ষ মদত দিচ্ছে বলে আমেরিকার যে অভিযোগ, তাতে অবশ্য কোনও প্রকাশ্য অবস্থান এখনই নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। কিন্তু চলতি পাক-মার্কিন বাগ্যুুদ্ধের সুযোগ নিয়ে পরোক্ষে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করার কৌশল নিয়েছে সাউথ ব্লক। আফগানিস্তানে ভারতের উপস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক বিরোধিতা চালিয়ে আসছে জারদারি সরকার। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রেহমান মালিক এ বিষয়ে বলেছিলেন, “আফ-পাক সীমান্তে ভারতের উপস্থিতি আমরা বরদাস্ত করব না।” আবার নয়াদিল্লি আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক মহলে এটাই বলে এসেছে যে কাবুলের উন্নয়নমূলক কাজে শরিক হওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে ভারতের। আফগানিস্তানকে যে ভারতের কূটনৈতিক মানচিত্রে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তা স্পষ্ট করতে ভারতীয় দৌত্যও ক্রমশ বাড়ানো হয়েছে সে দেশে। প্রধানমন্ত্রীর কাবুল সফরের পর বিদেশসচিব পদে বসেই রঞ্জন মাথাইও সে দেশে গিয়েছেন আফগান নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে।
ভারতের উদ্বেগের আরও একটি বড় কারণ গত সপ্তাহে তালিবানের হাতে প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট বুরহানুদ্দিন রব্বানির নৃশংস হত্যার ঘটনা। সম্প্রতি নয়াদিল্লি এবং কাবুলের মাঝে যোগসূত্র হিসাবে কাজ করছিলেন রব্বানি। তাঁকে হত্যা করে তালিবান ভারত তথা আফগানিস্তানে উপস্থিত অন্য দেশগুলিকে কোনও বার্তা দিতে চাইল কী না কারজাইকে তা-ও খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করবেন প্রধানমন্ত্রী। |
|
|
|
|
|