বাড়িতে লুঠপাট, অপহরণে ধৃত তিন
কটি বাড়িতে ঢুকে লুঠপাট, ভাঙচুর চালিয়ে ওই পরিবারের গৃহকর্ত্রী, তিন ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধা শাশুড়িকে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার রাতে কেষ্টপুরের সমরপল্লিতে। অভিযোগ, কেষ্টপুরের সমরপল্লির বাসিন্দা জয়দেব হালদারের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। তাঁরা জয়দেববাবুর স্ত্রী, তাঁর মা, ও তিন ছেলে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। আসবাবপত্রও ম্যাটাডরে চাপিয়ে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই দুষ্কৃতীদের পরে গ্রেফতার করে। উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার চম্পক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম হিমাদ্রি মুখোপাধ্যায়, উমাশঙ্কর যাদব ও রামাশিস সাউ। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, হিমাদ্রি মুখোপাধ্যায় নামে ওই অভিযুক্তের কেষ্টপুরের সমরপল্লিতে ২৫ কাঠা জমি রয়েছে। তিনি কুড়ি বছর আগে জয়দেববাবুকে জমির কেয়ারটেকার হিসেবে থাকতে দিয়েছিলেন। জয়দেববাবুর অভিযোগ, বুধবার রাত একটা নাগাদ হিমাদ্রি একদল লোক এনে তার বাড়িতে হামলা করে। ওই বাড়ি থেকে উঠে যেতে বলে। জয়দেববাবু রাজি না হলে তাঁকে মারধর শুরু করে। জয়দেববাবুর স্ত্রী, মা ও তিন ছেলে মেয়েকে জোর করে একটা গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায়।
জয়দেববাবু বলেন, “আমাদের কথা বলার সুযোগ না দিয়েই একদল লোক আমাদের বাড়িতে তাণ্ডব চালাতে শুরু করে।” জয়দেববাবু জানান, হিমাদ্রিরা সঙ্গে একটা ম্যাটাডরও এনেছিল। তাতে তাঁর ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী ও মাকে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায় তারা। বুধবার রাতেই জয়দেববাবু বাগুইআটি থানায় অভিযোগ করেন।
কী ভাবে জয়দেববাবুর স্ত্রী ও পুত্রদের উদ্ধার করল পুলিশ? পুলিশ জানিয়েছে, জয়দেববাবু হিমাদ্রির গড়িয়াহাটের বাড়ি ও গেস্ট হাউসের কথা পুলিশকে জানান। তারা জয়দেববাবুর সঙ্গে প্রথমে কেষ্টপুরে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে হিমাদ্রি ভাঙচুর হওয়া ঘর দখল নিচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে সেখানেই হিমাদ্রিকে ধরা হয়। সেখান থেকে পুলিশ যায় গড়িয়াহাটের হিমাদ্রির ওই গেস্ট হাউসে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গেস্ট হাউসের একটা ঘরে তালা বন্ধ করে জয়দেবের স্ত্রী, পুত্র ও মাকে রাখা আছে।
কেষ্টপুরের সমরপল্লি এলাকা যথেষ্ট জনবহুল হলেও কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানিয়েছেন, জয়দেববাবুর সঙ্গে হিমাদ্রির মাঝেমধ্যে ঝামেলা হত। বুধবার রাতে গোলমালের আওয়াজ শুনে সে রকমই কোনও ঘটনা ভেবে তারা কেউ ঘর থেকে বেরোননি। পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশি টহলদারি ওই এলাকাতে থাকলেও সে দিন রাতে ঘটনাটি তাদের নজরে আসেনি।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.