|
|
|
|
পথবাতি সারানোর দাবি রামপুরহাটে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
পুজোর মুখে রামপুরহাট পুর-এলাকার পথবাতিগুলি মেরামতির দাবি তুললেন পুরসভার দুই বিজেপি কাউন্সিলর-সহ দলের জেলার নেতৃত্ব। তাঁদের অভিযোগ, শহরের প্রধান প্রধান রাস্তা-সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে পথবাতিগুলি জ্বলছে না। দীর্ঘদিন ধরে মেরামতিও হচ্ছে না সেগুলির।
বুধবার উপ-পুরপ্রধান আব্বাস হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর মাধব সর্দার। পাশাপাশি পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পুজোর আগে পথবাতি সারানোর মৌখিক আবেদন জানান বিজেপি-র জেলা সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস চৌধুরী। তাঁর দাবি, “তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা শহরের ন্যূনতম পুর-পরিষেবা পথবাতি সারানোর ব্যাপারেও দীর্ঘদিন ধরে উদাসীন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তাগুলি সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। সেই সুযোগে অনেক এলাকায় অসামাজিক কাজকর্ম বাড়ছে। পুর-কর্তৃপক্ষ শহরের পথবাতি সারানোর জন্য কোনও ঠিকাদার পর্যন্ত নিয়োগ করেননি!” পুরপ্রধান জানান, ‘হ্যালোজেন লাইট’ ব্যবহার করায় অস্বাভাবিক বেশি পরিমাণে বিদ্যুতের বিল আসছে। তার পরিবর্তে পুর-এলাকায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়কারী আলো লাগানোর কাজ চলছে। পুজোর আগে শহরের প্রধান রাস্তাগুলির আলো মেরামত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সে ব্যাপারে কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলর সুপর্ণা চৌধুরীর অবশ্য দাবি, “পুরপ্রধান ঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। পুরসভায় কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। কাউন্সিলরদের কোনও চিঠিই দেওয়া হয়নি।”
অন্য দিকে, পুরপ্রধান নির্মলবাবুর নিজের ওয়ার্ডেই রাস্তার কাজ নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাকলামাঠ বিদ্যাসাগরপল্লিতে রাস্তা সংস্কারে ঢালাইয়ের কাজ নিম্নমানের হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে কাজও বন্ধ করে দেন এলাকাবাসীদের একাংশ। তাঁদের দাবি, ঢালাইয়ে বালি ও পাথরের ভাগই বেশি। সেই অনুপাতে সিমেন্ট অনেক কম ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে সংস্কারের কিছু দিনের মধ্যেই ফের রাস্তা ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। পুরপ্রধান বলেন, “আমার কাছে এই নিয়ে কোনও খবর নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব, কী হয়েছে।” |
|
|
|
|
|