|
|
|
|
অবৈধ খাদানের চাল ধসে মৃত্যু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল ও কলকাতা |
অবৈধ কয়লা খাদানের চাল ধসে মৃত্যু হল এক যুবকের। বৃহস্পতিবার সালানপুর থানার বনজেমাহারির ঘটনা। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ নাথ (২৭)। বাড়ি সালানপুরের বাসুদেবপুরের কাছে বনবিড্ডি গ্রামে। এই ঘটনায় ফের অবৈধ খাদানের রমরমা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দ বলেন, “কোথাও কোনও অবৈধ কয়লা কারবার চললে তা বন্ধ করা হবে। অবৈধ খননের ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বনজেমাহারির যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একটি অবৈধ খাদানে বেশ কয়েক জন কয়লা কাটার জন্য নামেন। হঠাৎ ওই খাদানের চাল ধসে যায়। চাপা পড়েন কয়েক জন। তাঁদের উদ্ধার করেন আশপাশের লোকজন। বাসিন্দারা জানান, চার জন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে আসানসোল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিকে, এই ঘটনার পরে অবৈধ খনন নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশের দাবি, গত কয়েক মাসে খনি অঞ্চলে অবৈধ কয়লা কারবার বন্ধ রয়েছে। এ দিনের ঘটনার পরে সিপিএমের বারাবনি জোনাল কমিটির সম্পাদক অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, আগের থেকে কিছুটা কমলেও সালানপুর এলাকায় অবৈধ কয়লার কারবার বন্ধ হয়নি। এমনিতেই বর্ষায় খাদানগুলিতে জল ঢুকে যাওয়ার ভয় থাকায় খনন কিছুটা কম হয়। অসীমবাবুর আরও দাবি, ইচ্ছা থাকলে পুলিশ অবৈধ কয়লা খাদান বন্ধ করতে পারে। অসীমবাবু বলেন, “এলাকায় অবৈধ কয়লা কারবার বন্ধ-সহ একাধিক বিষয়ে আমরা পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে আলোচনায় বসব।” পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য তথা সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল মজুমদারেরও অভিযোগ, এলাকায় ব্যাপক অবৈধ খনন চলছে। তিনি বলেন, “এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে সময় চেয়েছি।” |
|
|
|
|
|