ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপে
মাথা তুলছে শিবমন্দির

খনও ওঁরা জানতেন না ঘরের কাছেই ভূমিকম্প হবে। হালকা দুলে উঠবে এমনকী প্যান্ডেলের নীচের মাটিও।
সেই প্যান্ডেল, যেখানে ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ ভেদ করে আস্তে আস্তে মাথা তুলছে প্রায় বারোশো বছরের পুরনো শিবমন্দির। ইন্দোনেশিয়ার প্রমবানন শিবমন্দিরের আদলে দুর্গাপুরের গোপালমাঠে যুব মহলের মণ্ডপ গড়া শুরু হয়েছে বেশ কিছু দিন আগে। এর পরে সত্যি সত্যিই হয়ে গিয়েছে ভূমিকম্প। তাতে অবশ্য প্যান্ডেলের কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে উত্তরবঙ্গ ও সিকিমে প্রাণ গিয়েছে বহু মানুষের। ভেঙে পড়েছে বাড়িঘর। এমন পরিস্থিতিতে তাই পুজোর সময়ে মণ্ডপের চার পাশে ভূমিকম্পের ব্যাপারে সচেতনতামূলক ফেস্টুন-ব্যানার টাঙানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
গ্রামে কয়েকটি পারিবারিক পুজো হলেও কোনও সর্বজনীন না থাকায় ১৯৮৬ সালে গোপালমাঠে পুনবাদের দু’টি আলাদা ক্লাবের সদস্যেরা মিলে শুরু পুজো করেন। নাম হয়, যুব মহলের পুজো। এ বছর ২৬ বছরে পা রাখল এই সর্বজনীন। গত বছর কর্নাটকের রামেশ্বরম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ গড়ে শিল্পাঞ্চলের মানুষকে তাক লাগিয়ে ছিল যুব মহলের পুজো। এ বার থিম প্রমবানন মন্দির। বহু পূর্বে ভূমিকম্পে ভেঙে পড়েছিল ওই মন্দির। পরে তার সংস্কার হয়। সেই আদলেই ৭০ ফুট উচ্চতা ও ১৩০ ফুট চওড়া মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে গোপালমাঠ হাইস্কুলের মাঠে। কাপড় ও থার্মোকলের উপরে প্লাস্টিক পেইন্ট দিয়ে মন্দিরের বাইরের অংশ সাজানো হচ্ছে। ভিতরে শোলা ও প্রায় পঞ্চাশ হাজার আইসক্রিমের কাঠি দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হবে রামায়ণের চিত্রনাট্য। শিল্পী তাপস হাজরা জানান, ইন্দোনেশিয়ার ওই মন্দিরকে শিল্পাঞ্চলের মানুষের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে তাঁরা পঞ্চাশ জন প্রায় দু’মাস ধরে উদয়াস্ত পরিশ্রম করছেন।
দুর্গাপুরের গোপালমাঠে যুব মহলের মণ্ডপ। ছবি: বিকাশ মশান।
পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়, এ বার বাজেট প্রায় ১৪ লক্ষ টাকা। কমিটির সম্পাদক বিল্লেশ্বর মণ্ডল জানান, প্রথমে ঠিক হয়েছিল। পঞ্চমীতে পুজো উদ্বোধনের পরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পরিকল্পনা হয়েছে, জেলাশাসক বা মহকুমাশাসকের মাধ্যে ভূমিকম্প বিধ্বস্তদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে টাকা পাঠানো হবে। অন্য দিকে, প্রতি বছরের মতো এ বার ৪০তম বর্ষেও দৃশ্যাবলী দিয়েই মানুষের মন জয় করতে চাইছে বেনাচিতির অগ্রণী। প্রবীণ শিল্পী অশোক চট্টোপাধ্যায়ের তুলির টানে এ বার এখানে দেখা যাবে শস্য, শ্যামলা গ্রাম বাংলার অনন্য রূপ। মা আসবেন অন্নপূর্ণা রূপে। পুজোর বাজেট ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা। দক্ষিণ ভারতের একটি মন্দিরের আদলে হচ্ছে মণ্ডপ। উদ্যোক্তারা জানান, আলোকসজ্জাতেও এ বার পরিবর্তন আনা হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে রাজীব শ্যাম বলেন, “আশা করি এ বারও শিল্পাঞ্চলবাসী খুশি করতে পারব।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.