লাল রঙের প্র্যাক্টিস জার্সি গায়ে তখনও মাঠে দৌড়োদৌড়ি করছেন সঞ্জু-পেনরা। হলুদ জার্সি গায়ে ঢুকে পড়লেন সালগাওকরের ফুটবলাররা। কোচ করিম বেঞ্চারিফা দলের সবাইকে এবং নিজের ছোট্ট ছেলে অ্যাডামকে নিয়ে উঠে পড়লেন গ্যালারিতে। মর্গ্যানের অনুশীলনের শেষ পনেরো মিনিট দেখলেন। ফাইনালে দেখা হতেই পারে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে।
অনুশীলনের পর করিম বললেন, “লাজংয়ের খেলা পুণের মাঠে দেখেছি। যথেষ্ট পরিণত দল। বেশ কয়েক জন ভাল ফুটবলার ওদের আছে।” যুবভারতীর কৃত্রিম ঘাস যা সব দলকেই চিন্তায় ফেলে সেখানে খেলা আদৌ সমস্যা হবে না, জানাচ্ছেন করিম। আত্মবিশ্বাসী করিমের কথায়, “গোয়ায় আমরা বেশ কিছু দিন এই রকম মাঠে অনুশীলন করেছি। তবে সেমিফাইনালের আগে মাত্র এক দিনের অনুশীলনেই সেমিফাইনাল খেলতে হবে।” করিমের প্রতিপক্ষ শিলংয়ের লাজং এফ সি সেমিফাইনালের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে যুবভারতীতেই। টোলগেদের অনুশীলনেরও আগে। লাজং কোচ প্রদ্যুম রেড্ডির মুখেও করিমের প্রশংসা, “কী করে কাজ উদ্ধার করতে হবে সেটা করিম ভাল করে জানে। আমাদের নিজেদের খেলাটা খেলতে হবে।” |
মাঠে প্র্যাক্টিসে করিম বেঞ্চারিফার সালগাওকর। সাইডলাইনে
অন্য খেলায় করিম-পুত্র। ছবি: উৎপল সরকার |
যুবভারতীতে যে সব বাচ্চা ছেলে রোজ অনুশীলন দেখতে আসে তাদের উৎসাহ ছিল সালগাওকরের দশ নম্বর জার্সি ঘিরে। তারা ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন থেকে সরে এসে হাত মেলাচ্ছিল এডে চিডির সঙ্গে। কলকাতা ছাড়লেও জনপ্রিয়তায় ভাঁটা পড়েনি। চিডি নিজেও যা দেখে অভিভূত। কলকাতার অনেকে ফেসবুক-টুইটারে এ রকম মন্তব্যও করেছেন, “আমরা চিডির জন্যই সালগাওকরের হয়ে গলা ফাটাব।” চিডি নিজে অবশ্য আবেগে না ভেসে গিয়ে বললেন, “আমার কাজ গোল করা। সেটা করতে পারলে ভালই লাগবে। আর যুবভারতী আমার বরাবরই প্রিয়।” তাঁর সতীর্থ ইসফাক আহমেদও জানালেন, অনেক দিন পর কলকাতায় খেলাটা উপভোগ করবেন।
|
রবিবারে ফেড কাপ সেমিফাইনাল
সালগাওকর: লাজং (যুবভারতী, ৬-০০) |