ইস্টবেঙ্গল দলটাকে কেমন দেখাবে যদি সরিয়ে নেওয়া হয় পঞ্চপাণ্ডবকে? দলের শক্তি কতটা বদলাবে যদি টোলগে ওজবে, রবিন সিংহ, মেহতাব হোসেন, হরমনজোৎ খাবরা এবং রাজু গায়কোয়াড়এই পাঁচ জনকে বাদ দিয়ে দল গড়া হয়?
প্রয়াগ ইউনাইটেড নয়, সেমিফাইনালের ৪৮ ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গল কোচ ট্রেভর মর্গ্যানের চিন্তায় লাল-হলুদের অস্থায়ী হাসপাতাল। আগেই চোট পাওয়া মেহতাব ও রাজু-র ‘দল’ গত চব্বিশ ঘণ্টায় ভারী করেছেন টোলগে, খাবরা এবং রবিন। যুবভারতীতে অনুশীলনের পর ব্রিটিশ কোচ অবশ্য অভয় দিচ্ছেন, “এখনও একটা দিন হাতে আছে। আশা করছি, ওরা সকলেই ফিট হয়ে যাবে।” দলে যে দু’জনের বিকল্প খুঁজে পাওয়া রাত বারোটায় কলকাতার রাস্তায় সরকারি বাস পাওয়ার মতো, সেই টোলগে আর মেহতাব কী বলছেন? |
মর্গ্যানের দুশ্চিন্তা এখন মেহতাবের চোট। |
আগের দিনের সংশয় শনিবার হতাশায় বদলেছে মেহতাবের। ডাগআউটে বসে বলে ফেললেন, “মনে হচ্ছে পারব না। আগের থেকে ব্যথা কমেছে। কিন্তু হাঁটতে গেলেই তো লাগছে।” মাঠে তখন সেট-পিস অনুশীলন চলছে। টোলগে অবশ্য একটু দৌড়োদৌড়ি করলেন। তবে বেরিয়ে যাওয়ার আগে বলছিলেন, “সেমিফাইনাল ম্যাচের বাকি পঞ্চাশ ঘণ্টারও বেশি। এর মধ্যে হয়তো ঠিক হয়ে যাব।” মেহতাবের মতো টোলগেরও চোট কুঁচকিতে। রাজু-খাবরারও তাই। সোমবার তাঁদের খেলা নিয়ে শনিবার সকাল পর্যন্ত বেশ কিছু ‘হয়তো’, ‘যদি’ লেগে আছে। এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে সঞ্জু প্রধান, বলজিৎ সিংহের ভূমিকা।
অধিনায়ক সঞ্জু বললেন, “একটা বাড়তি দায়িত্ব আমাদের উপরে আসছে। আমার এখনও মনে হয় মেহতাব খেলবে। ও যে ফুটবলটা খেলে তার কোনও বিকল্প নেই। তবে আমাদের টিমের বাকিরাও তৈরি দায়িত্বটা নিতে।” বলজিৎও গাড়িতে ওঠার আগে বললেন, “টোলগে-রবিন না খেললে আমার উপর অনেক বাড়তি দায়িত্ব থাকবে।” মাঝমাঠে মেহতাব আর খাবরার অনুপস্থিতি যাঁকে সেমিফাইনালে হয়তো চোখের পলকও ফেলতে দেবে না, সেই পেন ওরজি শনিবার কথাই বললেন না মিডিয়ার সঙ্গে। গুটিয়ে রাখলেন নিজেকে। গম্ভীর মুখে বেরিয়ে গেলেন লাল-হলুদের ‘ওয়াল’ উগা ওপারাও। |