জোর বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে শোয়েব আখতারের মন্তব্য ঘিরে। কলকাতা নাইট রাইডার্স মালিক শাহরুখ খান এ দিন বলেছেন, “আমি এ সব কিছুই জানি না। কারও সঙ্গে প্রতারণা করিনি।” শোয়েবের দাবি, ললিত মোদী ও শাহরুখ তাঁকে প্রতিশ্রুতি মতো টাকা দেননি। যার জন্য অনেক কম টাকায় তাঁকে খেলতে হয়। যেখানে আইসিএল থেকে তিনি বেশি টাকা পেতে পারতেন। কিন্তু মোদী তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন, আইসিএলে না গিয়ে আইপিএলে খেললে বেশি টাকা পাবেন।
সচিন ফয়জলাবাদে তাঁর বোলিংয়ের সামনে পালিয়েছিলেন বলে বইয়ে দাবি করেছেন শোয়েব। যা নিয়ে প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ওয়াসিম আক্রম বলছেন, “শিয়ালকোট টেস্টে সচিনের থুতনিতে লাগিয়েছিল ওয়াকার। সেটার শুশ্রূষা করিয়ে ক্রিজে ফিরে হাফসেঞ্চুরি করে সচিন। যদি এক জন ষোলো বছরের ছেলে পেসারকে ভয় না পায়, মনে হয় না সে পরে আর কোনও বোলারকেই ভয় পাবে।”
কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে নভজ্যোৎ সিংহ সিধু বলেছেন, শোয়েবের মূল উদ্দেশ্য ‘সস্তা প্রচার’। “সচিন বা দ্রাবিড়কে মাপতে শোয়েবের প্রয়োজন নেই। সচিন নিজেই একটা প্রতিষ্ঠান। খেলা ছেড়ে দিলেও আজ থেকে ৬০ বছর পরে ওর নাম সম্মানের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।” প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনিং ব্যাটসম্যান আরও বলেছেন, “ভয় সবাই পায়। খেলা শুরুর আগে, কোনও অনুষ্ঠানে পারফরম্যান্সের আগে ভয় পাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে ‘গ্রেট’, সে জানে কী ভাবে ভয়কে জয় করতে হয়।”
আত্মজীবনীতে আক্রমকেও আক্রমণ করেছেন শোয়েব। যা নিয়ে কেকেআর বোলিং পরামর্শদাতা বলছেন, “শোয়েব নিজে জানে, আমি জানি, গোটা দুনিয়া জানে যে, শোয়েব নিজেই নিজের কেরিয়ার শেষ করে দিয়েছে। অনেক কিছুই বলতে পারি। কিন্তু শোয়েবকে অপমান করব না। ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা অলিখিত চুক্তি আছে যে, কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে মিডিয়ার সামনে মুখ খোলা যাবে না।” নতুন আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্ল বলেছেন, “শোয়েব যা লিখেছে সেগুলো অত্যন্ত কুরুচিকর। সচিনকে স্বয়ং ব্র্যাডম্যান স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার পর শোয়েবের মতো কারও কাছ থেকে সার্টিফিকেটের কী দরকার? শোয়েবকে অবশ্যই দ্রাবিড় আর সচিনের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
সচিনকে আক্রমণ করা নিয়ে বিতর্ক তৈরির মধ্যে শোয়েব বলেছেন, তিনি মোটেও সচিনকে অপমান করতে চাননি। তাঁর ক্রিকেটীয় যোগ্যতাকে খাটো করে দেখাতে চাননি। “সচিন ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি বলতে চেয়েছি ও আমার হিরো নয়।” |