|
|
|
|
 |
এক ঝলকে... |
পৃথিবী
১৮ - ২৪ সেপ্টেম্বর |
|
কাবুল সানা টোকিয়ো ত্রিপোলি মস্কো |
• যে কোনও জঙ্গিহানা-জনিত মৃত্যুই শোকের, কিন্তু শান্তির আলোচনার বৈঠক করতে বসে তালিবান নেতার পাগড়িতে লুকোনো আত্মঘাতী বোমায় আফগানিস্তানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বুরহানউদ্দিন রব্বানি-র প্রাণহানি যেন গোটা দেশটাকে আরও এক বার প্রবল ঝাঁকুনি দিয়ে গেল: শোকের ঝাঁকুনি, ভয়ের ঝাঁকুনি। বর্ষীয়ান রব্বানি ছিলেন দেশের শান্তিপ্রক্রিয়ার অন্যতম প্রধান পরিচালক। তাঁকে এ ভাবে সরিয়ে দেওয়ার অর্থ তাই বোঝা কঠিন নয়। শেষকৃত্যে শোকে ভেঙে পড়লেন প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই-সহ (ছবি)সব আফগান নেতারা। |
• আবার, আবার সেই টাইফুন-গর্জন! জাপানের দুর্ভাগ্যের যেন শেষ নেই এ বছর। শক্তিশালী টাইফুন রোক আছড়ে পড়ল জাপান দ্বীপদেশে। পুনর্নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই ফুকুশিমা পরমাণুকেন্দ্র আবার বিপন্ন হয়ে পড়ল।
• লিবিয়ায় গদ্দাফি-বিরোধী বাহিনীর অগ্রগতি অপ্রতিহত। আসনচ্যুত প্রেসিডেন্ট গদ্দাফি-র অবশিষ্ট কয়েকটি ঘাঁটির অন্যতম সাভা শহরের দখলও নিয়ে নিল বিদ্রোহীরা। দেশের দক্ষিণাংশ নিয়ন্ত্রণ করা হয় এই শহর থেকেই। সে দিক দিয়ে এই জয় গুরুত্বপূর্ণ।
• ২০১২-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কে দাঁড়াবেন, কে জিতবেন, সব জল্পনারই অবসান মস্কোয়। পুতিন প্রার্থী, মেদভেদেভ সমর্থন জানাবেন তাঁকে। আর কিছু প্রশ্নোত্তরের দরকার রইল কী?
|
• জুনের গোড়ায় জখম হয়ে ‘চিকিৎসার জন্য’ সৌদি আরবে চলে গিয়েছিলেন গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লা সালে। গত সপ্তাহে দেশে ফিরেছেন তিনি, সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে তাঁর অনুগত সৈনিকদের সঙ্গে বিদ্রোহী সেনার লড়াই শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই নিহত প্রায় দেড়শো। তিনি শান্তির আহ্বান জানাচ্ছেন। লক্ষ্য অবশ্যই গদি বজায় রাখা। |
|
তেহরান |
গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধৃত দুই মার্কিন নাগরিককে বুধবার মুক্তি দিয়েছিলেন মাহমুদ আহমদিনেজাদ। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জে আবার তাঁর মার্কিন-বিরোধী গালিবর্ষণ। সাধারণ পরিষদের ৬৬তম অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে ইরানের প্রেসিডেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিম দুনিয়ার ‘স্বৈরতন্ত্রী’ রাষ্ট্রগুলির মুণ্ডপাত করলেন। এবং যোগ করলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার যে ভাবে ধূলিসাৎ হয়েছিল, সেটা বিমানের ধাক্কায় হতে পারে না, নিশ্চয়ই তার ভিতরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। তিনি জানেন, কারণ তিনি এক জন ইঞ্জিনিয়ার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইয়োরোপিয়ান ইউনিয়নের বিভিন্ন রাষ্ট্র সহ ত্রিশের বেশি দেশের প্রতিনিধিরা অবশ্য এই জ্বালাময়ী বক্তৃতা শোনেননি, তাঁরা প্রতিবাদে ওয়াকআউট করেন। |
নিউ ইয়র্ক |
সব আলো যখন প্যালেস্তাইনের মুখের উপর, ইজরায়েলের অবস্থাটা কী? প্যালেস্তাইনকে রাষ্ট্রপুঞ্জ আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে কি না, এই নিয়ে যখন নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠক জমজমাট, তখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনইয়ামিন নেতানিয়াহু ক্রমাগত একটি ধুয়োই আঁকড়ে থাকছেন। আলাদা রাষ্ট্রের স্বীকৃতি মানেই কিন্তু শান্তি স্থাপনা নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জেরই দায়িত্ব শান্তি স্থাপনার লক্ষ্যে প্যালেস্তাইনের সম্পূর্ণ স্বীকৃতি আদায় করা। সে কাজটা এগোচ্ছে কি? তিনি তো কথা এগোতে রাজি, কিন্তু প্যালেস্তিনীয় প্রেসিডেন্ট? ‘আজই, এক্ষুনি রাষ্ট্রুপুঞ্জের অফিসে প্রেসিডেন্ট আব্বাসকে আমার সঙ্গে বৈঠকে বসতে আহ্বান জানাচ্ছি,’ বললেন নেতানিয়াহু। কিন্তু তবু বৈঠক হল না। |
লন্ডন |
উইকিলিকস-এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান আসাঞ্জ-এর আত্মজীবনী প্রকাশিত হল। তাঁর অনুমতি ছাড়াই! ব্রিটেনের প্রকাশক ‘ক্যাননগেট’ এই বইটির নামই দিয়েছে ‘দি আনঅথরাইজড অটোবায়োগ্রাফি’। গত বছর বিপুল অর্থের বিনিময়ে এই আত্মজীবনীর স্বত্ব কিনেছিল ক্যাননগেট। ঠিক হয়েছিল, আসাঞ্জ ইন্টারভিউ দেবেন, আর সেটি লিখবেন আর এক জন (যাকে বলে ‘ঘোস্ট রাইটিং’)। পঞ্চাশ ঘণ্টা সাক্ষাৎকার দেওয়ার পরে বেঁকে বসেন আসাঞ্জ। জানান, তিনি মনে করেন, ‘আত্মজীবনী লেখা আসলে বেশ্যাবৃত্তি’। বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলার বিপুল খরচ জোগাতেই তিনি অগ্রিম টাকা নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। সে টাকা অবশ্য ফেরত দেননি তিনি। ফলে, চুক্তিও বাতিল হয়নি। তাই, তাঁর অনুমোদন ছাড়াই বইটি বেরলো। |
ওয়াশিংটন |
১৯৯৩ থেকে নিষেধাজ্ঞা: মার্কিন সেনাবাহিনীতে কোনও সমকামী চাকরি পাবেন না। নিষেধাজ্ঞার জেরে চাকরি গিয়েছে প্রায় ১৪,০০০ জনের। দীর্ঘ ১৮ বছর পর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহৃত হল। প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন, ভাবতে ভাল লাগছে যে এত দিন ধরে শুধু যৌনতার কারণে যে সব প্রতিভাবান মার্কিন নাগরিক সেনাবাহিনীর কাজ করতে পারতেন না, তাঁরা এ বার আসবেন। |
শেষ পাত |
‘ভূমিকম্প আটকানোর সাধ্য আমাদের নেই। ভারত পারেনি, চিন পারেনি, আমরা কী করে পারব? পশুপতিনাথের কাছে প্রার্থনা জানাই, এ বার যেন আমেরিকায় কিংবা অন্য উন্নত দেশে ভূমিকম্প হয়।’ বলেছেন বিজয় কুমার গচ্ছেদার, নেপালের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই রাষ্ট্রপুঞ্জের সম্মেলনে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে বলে তিনিই দেশ চালাচ্ছেন। ভূমিকম্পে বিধ্বস্তদের ত্রাণের জন্য সরকার কী করছে, সংসদে প্রশ্ন উঠলে তিনি এই ভয়ঙ্কর জবাব দেন। শত্রুর সর্বনাশ কে-ই না চায়, কিন্তু সেটা তো মনে মনে! আন্তর্জাতিক কূটনীতি-মঞ্চে এমন উক্তি চলে না। মার্কিন সফররত ভট্টরাই কী বিড়ম্বনায় পড়েছেন, অনুমান করা কঠিন নয়। |
|
|
 |
|
|