তিনি (মহা)কাব্যে আছেন, তবে উপেক্ষিত। দেবর হওয়াই তাঁহার মহত্তম গৌরব। দাম্পত্যজীবন সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না, যদিও স্ত্রী ছিলেন (তিনিও, হায়, উপেক্ষিতা!)। তিনি সঙ্গে আছেন। দাদার সঙ্গে। প্রথম নহেন, কখনও হইতেও চাহেননি। তিনি দ্বিতীয়, এবং সুখী। এই বেশ ভাল আছি। দীর্ঘ বনবাসে দাদা-বউদির সেবাই ছিল ব্রত। যদি বা কোনও নারী আসিয়া প্রেম নিবেদন করিল, কম্পিত হইয়া তৎক্ষণাৎ অস্ত্র ধরিলেন। সর্বদা ভাল কাজ করেন নাই মোটেও। শত্রু নিরস্ত্র, যজ্ঞাগারে পূজারত। দাদার আদেশে তাহাকেই বধ করিয়া আসিলেন দিব্য! নাগপাশ আর শক্তিশেল খাইয়াও বাঁচিয়া গিয়াছিলেন, কারণ তাঁহারও একটা ক্ষুদ্র অমরত্বের দাবি ছিল। লক্ষণরেখা! গণ্ডির মজাই ইহা, বেরটোল্ট ব্রেশ্টকে অমর করে, দেবর লক্ষণকেও! তবে, সুদিন ফুরাইল বোধ হয়। সম্প্রতি দেশের শীর্ষ আদালত জানাইয়া দিয়াছে, লক্ষণরেখা বলিয়া কিছু হয় না। গণ্ডির দাগ তো ঝাপসা, কে-ই বা বলিবে, এই পর্যন্ত আগাইয়ো, তাহার বেশি নয়! বেয়াদপ উত্তর-আধুনিকেরা এই কথা বহু দিনই কপচাইতেছিলেন, শেষে কি না সুপ্রিম কোর্ট! কিছুই ছিল না, শুধু একটি রেখা ছাড়া। তাহাও তো ঝাপসা! হায়, (লক্ষণ)রেখা! |