হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীকে আইএসআই-মদতের বিষয়টি নিয়ে মার্কিন চাপের মুখে আরও এক ধাপ সুর চড়াল পাকিস্তান। কাল পর্যন্ত খানিকটা অনুযোগের সুরেই পাকিস্তান বলেছে, এই রকম অভিযোগে দু’দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে সন্ত্রাস দমনের যুদ্ধে আমেরিকার পাশে থাকাটা পাকিস্তানের পক্ষে শক্ত হয়ে পড়বে। তাতে বন্ধু হারাবে আমেরিকাই। আজ কিন্তু অনেকটাই আক্রমণাত্মক পাকিস্তান। কিছু দিন আগে মার্কিন সেনা পকিস্তানে একতরফা অভিযান চালিয়ে ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার পর আমেরিকার বিরুদ্ধে মুখর হয়ে উঠেছিল ইসলামাবাদ করেছে মার্কিন সেনা। এখন হক্কানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধেও সেই রকম একতরফা মার্কিন অভিযানের সম্ভাবনা আর জোরালো হয়ে ওঠায় সরাসরি হুমকির সুরেই পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার বলেছেন, “দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা সীমারেখা রয়েছে। আমেরিকা যেন সেই লক্ষ্মণরেখা না পেরোয়।” একই সঙ্গে হিনার হুঁশিয়ারি, “নিজেদের উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়ার কারণে যেন পাকিস্তানকে বলির পাঁঠা করা না হয়।”
হিনা এমন একটা সময়ে এই মন্তব্য করেছেন, যখন, মার্কিন সেন্ট্রাল কম্যান্ডের প্রধান জেনারেল জেমস মাট্টিস ইসলামাবাদে এসেছেন হক্কানি জঙ্গি দমনের প্রশ্নটি নিয়েই আলোচনা করতে। তালিবানের হক্কানি গোষ্ঠীর সঙ্গে আইএসআইয়ের প্রত্যক্ষ যোগসাজশ নিয়ে পাক সেনাপ্রাধান, বিদেশমন্ত্রী ও গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে এর আগেও দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে আমেরিকার। এর পরেও শুধু কিয়ানি নয় পাকিস্তানের বাকি নেতাদেরও হক্কানি দমনে চাপ দিতে এসেছেন জেনারেল মাট্টিস। সেই চাপ মোকাবিলায় হিনা আজ আমেরিকার অতীত ভূমিকার কথাও স্মরণ করিয়ে দিতে ছাড়েননি। হিনার কথায়, “সমস্যাগুলি আমরা তৈরি করিনি। আফগানিস্তান থেকে সোভিয়েত শাসন হঠাতে ওরাই কিন্তু এক সময় মুজাহিদিনকে মদত দিয়েছে। জুগিয়েছে অর্থ। এখন নিজেদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়ার জন্য তারা (আমেরিকা) যেন পাকিস্তানকে দোষ না দেয়। পাকিস্তান সেটাই করবে যা তার জাতীয় স্বার্থের পক্ষে ভাল।” |