চিকিৎসক ‘অনিয়মিত’ আসেন। নার্স এবং চতুর্থ শ্রেণির এক জন করে কর্মী। তাঁরা নিয়মিত আসেন না। সাফাইকর্মী নেই। প্রয়োজনীয় ওষুধ মেলে না। এমনই নানা অভিযোগ তুলে বিষ্ণুপুরের কাঁকিল্যা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একমাত্র চিকিৎসককে ঘেরাও করে রাখেন আশপাশের চার-পাঁচটি গ্রামের মানুষ। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের কাছে লিখিত ‘মুচলেকায়’ স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের আলোচনায় বসানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পান ওই চিকিৎসক। |
কাঁকিল্যা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রীবাস দত্ত, দিলীপ বাগদিদের অভিযোগ, “এই ডাক্তারবাবু মাসে একবারও আসেন না স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। নার্স, চতুর্থ শ্রেণির কর্মীও অনিয়মিত। ফলে কোনও পরিষেবা মেলে না। আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা রোগীরা দিনের পর দিন ফিরে যেতে বাধ্য হন।” এ দিন ঘেরাও হয়ে থাকা চিকিৎসক সোমশুভ্র চেল ‘অব্যবস্থার’ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ন্যূনতম তিন জন চিকিৎসক, তিন জন নার্স ও চার জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী থাকা প্রয়োজন। দরকার সাফাইকর্মীরও। কম সংখ্যক কর্মী থাকার জন্য এই অবস্থা। বিষয়টি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে বারবার জানিয়েছি।” যদিও তাঁর নিজের বা বর্তমান নার্স-কর্মীর অনিয়মিত হাজিরার অভিযোগ অস্বীকার করে সোমশুভ্রবাবু বলেন, “আমরা নিয়মিতই আসি।” গ্রামবাসীদের পাল্টা অভিযোগ, “উনি না এসেও খাতায় সই করেন। নিয়মিত এলে রোগীদের এ ভাবে ফিরে যেতে হত না। স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে গরু-ছাগলও বাঁধা হত না।”
বস্তুত, এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে যত্রতত্র গরু-ছাগল চরে বেড়াতে দেখা গেল। বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ দিন্দা বলেন, “ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আমরা নানা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু হয়েছে। বাকি সমস্যাগুলি খতিয়ে দেখা হবে।” |