টুকরো খবর
ক্ষতিগ্রস্ত বন-বাংলো প্রভাব পড়বে পর্যটনে
ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড় এবং ডুয়ার্সের বনবাংলোগুলির একাংশ। সে কারণেই পুজোর মরসুমে পর্যটন নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। বিশেষ করে এই সময় দেশ বিদেশের পর্যকদের একটা বড় অংশ এ বার ডুয়ার্সের বিভিন্ন বন বাংলোতে থাকার উৎসাহ দেখিয়েছিলেন। প্রায় সমস্ত বনবাংলোগুলির অগ্রিম বুকিং হয়। অথচ ভূমিকম্পের পর পরিস্থিতি অনেকটাই বদলাতে চলেছে। ডুয়ার্সের বিভিন্ন বন বাংলোগুলিতে অনেক ক্ষেত্রেই পুজোর মরসুমে অগ্রিম বুকিং সমস্তই বাতিল করা হয়েছে। যেমন ‘রেডপান্ডা ক্যাম্প’-এর কথাই ধরা যাক। লাভা থেকে ৭ কিলোমিটার ওপরে এই বন বাংলো পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণের। এ রাজ্যে রেডপান্ডার অন্যতম আবাসস্থল নেওড়াভ্যালি জাতীয় উদ্যানের দক্ষিণ সীমানায় অবস্থিত এই ক্যাম্প এলাকা। পাহাড়ের ধাপে দেওয়াল গেঁথে গড়ে তোলা বাংলোটির ভিত ভূমিকম্পে দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেখানে থাকা বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি বুঝে বন দফতরও এ ব্যাপারে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। এখানে পর্যটকদের অগ্রিম বুকিং বাতিল হয়েছে। তবে বন দফতরের দাবি, ওই বাংলোতে থাকতে উৎসাহী পর্যটকদের অন্যত্র রাখা যায় কি না সে ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগের ডিএফও সুমিতা ঘটক বলেন, “ভূমিকম্পে বনবাংলোটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে কারণেই এখানে পর্যটকদের রাখা যাবে না। এই বাংলোয় সমস্ত অগ্রিম বুকিং বাতিল করে পর্যটকদের অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” তবে কোথায় রাখা হবে এ ব্যাপারে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এমন পরিস্থিতি অন্য অনেক বাংলোগুলির ক্ষেত্রেও। রেডপান্ডা ক্যাম্পের পাশাপাশি লাভাতে জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী-২ বিভাগের ইন্সপেকশন বাংলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভূমিকম্পে। সেখানে পর্যটকদের থাকাও বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বন দফতরের কর্তারা। কালিম্পং বন বিভাগের বাংলোর। ওই ডিভিশনের ম্যানেজার সমীর গজমীর জানান, সিকিম সীমানা লাগোয়া রংপো রেস্ট হাউজ সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেবক লাগোয়া মংপং বন বাংলোর ‘ডাইনিং কটেজ’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনই এই সমস্ত বন বাংলোয় বুকিং বাতিল করা হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। ভূমিকম্পে নেওড়াভ্যালির জঙ্গল পথে বেশ কয়েক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়েও রাস্তা বন্ধ হয়ে রয়েছে। তাতে টহলদারির কাজ ব্যহত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ট্রেকিং রুটগুলিও আটকে পড়েছে।

শিবু-শোকে স্তব্ধ ডাবগ্রাম
বিশ্বকর্মা পুজো শিলিগুড়িতে কাটিয়ে যেতে বলেছিলেন বাড়ির লোক। কিন্তু, ‘কাজ-পাগল’ শিবু হালদার কারও কথা শোনেননি। তা ছাড়া, পুজোর কেনাকাটার জন্য টাকা পাঠানোর তাড়াও ছিল তাঁর। সোজা চলে গিয়েছিলেন কর্মক্ষেত্র সাফুতে। তাই বৃহস্পতিবার শিবুবাবুর নিথর দেহ যখন কফিনবন্দি হয়ে ডাবগ্রামের বাড়িতে পৌঁছল, তখন কান্নায় ভেঙে পড়লেন বাড়ির লোক। শোকাহত ভাই অভিজিৎ বললেন, “দাদাকে বন্ধুরা, পরিবারের সবাই বলেছিলাম বিশ্বকর্মা পুজোয় এখানে থেকে রবিবারের পর সিকিমে যেতে। ও শোনেনি। বলেছিল, এখন না গেলে পুজোর টাকা পাবে না। বাড়ির সবার জন্য জামাকাপড় কেনা হবে না। আর অনেক কাজও পড়ে রয়েছে সেখানে। আর পুজোয় তো আসবই।” দাদা এই ভাবে আসবে তা এখনও ভাবতে পারছেন না অভিজিৎবাবু। গত রবিবার ভূমিকম্পের সময় সিকিমের সাফুতে তিস্তা জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এলাকায় ধস চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন শিবুবাবু। ঘটনার তিন দিন পর বুধবার সকালের প্রকল্পের সহকর্মীরা ধসের পাথর, মাটি সরিয়ে শিবুবাবুর দেহটি উদ্ধার করে জঙ্গলের ঘুরপথে প্রকল্প এলাকায় নিয়ে আসেন। তিনদিন উদ্বেগ, উৎকন্ঠার মধ্যেই কাটে হালদারের পরিবারের সদস্যদের। ছেলে বেঁচে রয়েছে এই আশায় দিনরাত বসেছিলেন মৃতের মা গীতারানিদেবী। স্ত্রী অপর্ণাদেবী ছেলে আকাশকে নিয়ে ভগবানের কাছে প্রাথর্না করছিলেন। মৃত শিবুবাবুর সহকর্মী চন্দন মল্লিক বলেন, “সবাই মিলে বিশ্বকর্মা পুজো করেছিলাম। রবিবার তিস্তায় ভাসানও দেওয়া হয়। ভূমিকম্পের সময় ভাসান দিয়ে ফেরার পথে ট্রাকে ধস পড়ে ৮ জন মারা যান। শিবুবাবু টানেলের মাথায় কাজ করছিলেন। ভেবেছিলাম সুরক্ষিত আছেন। পরে ওঁকে খুঁজে পাইনি।’’ এদিন সকালে মঙ্গন হাসপাতালে দেহটির ময়নাতদন্তের পর সেনা হেলিকপ্টারে করে তা বেংডুবিতে এনে তা পরিবারের হাতে দেওয়া হয়।

ক্ষতি-সমীক্ষা শুরু পুরসভার
ভূমিকম্পে জলপাইগুড়ির পুর এলাকায় এবং পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা বিভিন্ন জায়গায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করল পুরসভার একটি সমীক্ষক দল। প্রাথমিক ভাবে বিডিও এবং পুর কর্তৃপক্ষের কাছে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা একটি রিপোর্ট দিয়েছেন। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের পক্ষ থেকে এলাকায় কোথায় কোন বাড়ি, সরকারি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ দিন বিকালের মধ্যেই প্রধানদের একটি রিপোর্ট দিতেও বলা হয়েছিল জলপাইগুড়ি সদর ব্লক থেকে। জলপাইগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ জানান, তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরীক্ষা করতে বার হন। তারা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, শহরে ১০০ টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলির মধ্যে রয়েছে পুরসভার প্রাচীন ভবন। রাজবাড়ির সিংহদুয়ার, শিবমন্দির, মনসা মন্দির, দিনবাজার, পুরসভার ভবন, দিনবাজারে পাইকারি মাছের বাজার, লাবন্য মাতৃসদন, বিবেকানন্দ মিনি মার্কেট। করলা নদীর উপর চারটি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গোশালার মোড়ের কাছে করলা নদীর উপর একটি সেতুর স্তম্ভে ফাটল ধরেছে। পুরসভার ৫টি ওভারহেড জলাধারের স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলির একাংশের বালিপাথর খসে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সিপিএমের সাংসদ শ্যামল চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁরা একটি স্মারকলিপি দেন কমিশনারকে। শ্যামলবাবু বলেন, “গ্রামের গরিব বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকারের সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।” শ্যামলবাবু এবং মনোহর তিরকির সাংসদ কোটা থেকে ক্ষতিগ্রস্ত চা বাগানের বাসিন্দের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

অনিয়মের অভিযোগ
কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে বেলাকোবা নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। আইএনটিটিইউসি প্রভাবিত ‘অল বেঙ্গল রেগুলেট মার্কেট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর বেলাকোবা ইউনিটের তরফে সম্প্রতি রাজ্যের কৃষিজ বিপণন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায়ের কাছে অভিযোগ করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। ওই বাজার সমিতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে বাজার সমিতির কর্তৃপক্ষের কাছেও আলাদাভাবে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। বাজার সমিতির সচিব উমাপদ রক্ষিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে ওই বাজার সমিতিতে কাজে যোগ দিয়েছি। কাজেই ওই ধরণের অভিযোগের ভিত্তি নেই। আমার কাজে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই দু’জন কর্মী সেখানে কাজ করে আসছেন। সংগঠনের অন্যান্য দাবিগুলি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।” সংগঠনের অভিযোগ, পর্যাপ্ত কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও বাজার সমিতির বর্তমান কর্তৃপক্ষ এ বছরের সেপ্টেম্বরের ১ তারিখে রাজ্য বিপণন পর্ষদের অনুমোদন ছাড়াই এবং সংগঠনের জেলা নেতৃত্বকে অন্ধকারে রেখে দুই কর্মীকে নিয়োগ করে কর্মচারীর ডিউটি রোস্টারে নাম নথিভুক্ত করে বাজার সমিতির হাটের কাজের ডিউটি দেন। অথচ বাজার সমিতির আর্থিক অবস্থার যা হাল তাতে কর্মীদের প্রাপ্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। সংগঠনের জেলা নেতা কল্যাণ বলেন, “সমিতির তহবিলের অবস্থা ভাল নয়। কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে কর্তৃপক্ষ কী করে সরকারি নিয়ম বর্হিভূত সেখানে দু’জন কর্মী নিয়োগ করলেন? সেটাই তদন্তের দাবিতে দফতরের মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।” সংগঠনের আরও অভিযোগ, বিগত বিপণন পর্ষদের চেয়ারম্যান নরেন চট্টোপাধ্যায় ও কৃষিজ বিপণন পর্ষদের মুখ্য কার্য নির্বাহী আধিকারিকের নির্দেশে ওই বাজার সমিতির বাজার চত্বরে ৫০ টি স্টল তৈরি করা হয়। যার দরপত্র হয় সরাসরি কলকাতা থেকে। অভিযোগ, সচিব নিজের পদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫০ টির জায়গায় ৫৩ টি স্টল তৈরি করেছেন। ওই বাড়তি ৩ টি স্টলের পেমেন্টের জন্য সচিব বাজার সমিতির নিজস্ব তহবিল থেকে পরিশোধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন।

প্রতারণার অভিযোগ
চিটফান্ড খুলে আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দার কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত এক রেলকর্মী। নাম নারায়ণ দত্ত। তিনি ছাড়াও তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেও ওই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। গত কয়েক বছর ধরে তাঁরা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করেন। এ বার পুজোর আগে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সপরিবার নায়ারণবাবু গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে। আলিপুরদুয়ারের আইসি মনোজ চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দুটি মোবাইলে ফোন করে সুইচ্ অফ পাওয়া গিয়েছে। ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কের আলিপুরদুয়ার শাখার ম্যানেজার পলাশ চৌধুরি বলেন, “আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় ওই চিটফান্ড সংস্থার দফতরে গিয়ে দেখি সেখানে তালা মারা রয়েছে।”

শোকপ্রকাশ মন্ত্রীর
প্রবীণ দলীয় কর্মীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। বৃহস্পতিবার তাঁরই বিধানসভা কেন্দ্রের অধীনে থাকা শিলিগুড়ির শালুগাড়া বাজারের বাসিন্দা ওই কর্মী ওঙ্কার মাইয়া(৬৮) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ দিন ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি স্কুল পরিদর্শন করতে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী। সে সময় দলের প্রবীণ কর্মী ওই ব্যক্তির বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। ঘটনাচক্রে সে সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঘরে পড়ে যান ওঙ্কারবাবু। দ্রুত তাঁকে নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন মন্ত্রী। নার্সিংহোমে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওঙ্কারবাবু মারা যান।

চাঁদার জুলুম, গ্রেফতার ৬
জোর করে ট্রাক থামিয়ে দুর্গা পুজোর চাঁদা আদায়ের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় প্রধাননগর থানার চম্পাসারি মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা স্থানীয় একটি পুজো কমিটির সদস্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই এলাকায় ট্রাক থামিয়ে জোর করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠছিল। এদিন ওই খবর পেয়ে চম্পাসারি মোড়ে হানা দেয় পুলিশ। সে সময় বেশ কয়েকটি ট্রাক থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। কিছুদিন আগে শিলিগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি জোর করে চাঁদা ব্যপারে পুজো কমিটির সদস্যদের সতর্ক করে দেয়।

বার্ধক্য ভাতা নিয়ে ক্ষোভ
পুজোর আগে বার্ধক্য ভাতা না পেয়ে রাজগঞ্জে বিন্নাগুড়ি অঞ্চলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা নবকুমার মহন্ত বলেন, “গত অগস্ট মাসে রাজগঞ্জের সব পঞ্চায়েত এলাকায় বার্ধক্য দেওয়া হলেও আমাদের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ বছর ধরে অন্তত ৪০০ জন এখনও ভাতা পাননি। পুজোর মুখে ভাতা না পেয়ে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।” পঞ্চায়েত প্রধান সিপিএমের ভবানন্দ বর্মন অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, “আমাদের পঞ্চায়েত এলাকায় বার্ধক্য ও বিধবা মিলে সংখ্যা এক হাজারের মতো। অগস্ট মাসে হাতে গোনা কয়েকজনের নথিপত্রে ভুল থাকায় ভাতা পাননি। সেসব ঠিকঠাক করে বিডিও অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে। না জেনে নববাবুরা অভিযোগ করেছেন।” ব্লক প্রশাসনের তরফে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে বলে জানানো হয়।”

‘ভারত ভ্রমণ’ শেষ
জলপাইগুড়ি জেলার ভারত-ভুটান সীমান্তের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৬৬ জন যুবককে ওড়িশা, তামিলনাড়ুতে ঘুরিয়ে আনল সশস্ত্র সীমা বলের (এসএসবি) শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ার। গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ দিনের জন্য ওই সফর হয়েছে। সীমান্তের বাসিন্দাদের সঙ্গে বাহিনীর সুসম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেয় এসএসবি। ‘ভারত ভ্রমণ’ কর্মসূচি এরই অঙ্গ। ওই যুবকদের কলকাতা, পুরী, ভূবনেশ্বর, চেন্নাই-মত জায়গাগুলিতে ঘোরানো হয়। সফরের সমস্ত খরচ এসএসবি বহণ করেছে। বৃহস্পতিবার ফেরার পর তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন শিলিগুড়ি ফ্রন্টিয়ারের আইজি এসকে গৌতম। তিনি ওই যুবকদের সীমান্তে সক্রিয় দেশ বিরোধী বিভিন্ন শক্তি সম্পর্কে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন।

শ্লীলতাহানি, ‘ধৃত’
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক মনোজ পাণ্ডেকে গ্রেফতার করল রাজগঞ্জ পুলিশ। বুধবার মাঝিয়ালি অঞ্চলের বন্ধুনগর ডি এন হাইস্কুলে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়ায়। ওই ছাত্রীর পরিবার ও স্কুল পরিচালন কমিটির তরফে পুলিশে অভিযোগ হলে পুলিশ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা রুজু করে তাকে গ্রেফতার করে। তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হয়।

স্থায়ী কাজের দাবি
স্থায়ী কাজের দাবিতে আন্দোলনে ফাঁসিদেওয়ার রাঙাপানি তেল শোধনাগার প্রকল্পে জমিহারা পরিবারগুলি। নিজেদের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত কমিটি গড়ে ওই আন্দোলনে নেমেছেন তারা। আন্দোলনের কর্মসূচি হিসাবে বুধবার ওই সংস্থার গেটে জড়ো হয়ে তারা বিক্ষোভ দেখালেন। সংস্থার তরফে আশ্বাস দেওয়া হলে ১ ঘন্টা পর বিক্ষোভ ওঠে। প্রকল্পে ২০০ পরিবার জমি দিয়েছেন। অনেকেই সেখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না।

ছোট বাগানের বোনাস
ক্ষুদ্র চা বাগিচাগুলির বোনাস নিষ্পত্তি হল। বুধবার এই বিষয়ে শহরের বান্ধব নাট্য সমাজ হলঘরে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন চা শ্রমিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। সিদ্ধান্ত হয় ২৫ একর পর্যন্ত বাগিচাগুলির শ্রমিকদের ১৭.৭৫ হারে বোনাস দেওয়া হবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.