পুজো মানেই পত্রিকার শারদীয়া সংখ্যার প্রকাশ। রাজ্যের বিভিন্ন জেলার অগুন্তি ক্ষুদ্র পত্রপত্রিকাও শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশের ওই উদ্যোগে সামিল। ওই সমস্ত ক্ষুদ্র পত্রপত্রিকা নিয়ে বালুরঘাটে পুজোর চারটে দিন প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে স্থানীয় সেফ হার্ট নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংস্থার পক্ষে দেবব্রত ঘোষ জানান, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাগুলি থেকেও তাঁরা ক্ষুদ্র পত্রপত্রিকা ও সাময়িকী সংগ্রহে নেমেছেন। প্রদর্শনীতে সেগুলিও ঠাঁই পাবে। শ্রেষ্ঠ পুজো সংখ্যাটিকে পুরষ্কৃত করার পরিকল্পনাও নিয়েছেন তাঁরা।
|
পুজোয় এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে এ বারও মেলার আয়োজন করছে শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের পঞ্চানন স্মৃতি সঙ্ঘ ক্লাব। শিবমন্দিরের বিএড কলেজ ময়দানে আয়োজিত ওই পুজো এ বার আট বছরে পড়ল। প্রথম বছর থেকেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে চলছে এই মেলার আয়োজন। পুজোর আনন্দের ফাঁকে নিজেদের সংস্থার উৎপাদন বিক্রিও করতে পারেন এলাকার ওই মহিলারা। পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা কার্তিক বর্মন জানান, ইতিমধ্যেই মহকুমার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
|
মেডিক্যাল কলেজ মোড়ের নব যুবক সঙ্ঘের পুজো এ বার ৪০ বছরে পড়ল। মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই এলাকায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ তৈরির পরেই ধীরে ধীরে জনবসতি তৈরি হয়। শুরু হয় পুজো। তেমন বড় মাপের আয়োজন কিছু নয়। কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপ। স্থানীয় শিল্পীকে দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে প্রতিমা। থার্মোকল দিয়ে অভিনব অলঙ্করণের কাজ করছেন শিল্পী বাবলু সিংহ। কিন্তু এলাকার সমস্ত স্তরের বাসিন্দারা সামিল হন ওই পুজোয়। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, পুজোয় এলাকার বাসিন্দাদের সামিল করাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
|
অসুর নিধনে মর্তে এলেন দেবী। প্রায় ২০ ফুটের একচালায় ওই দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের সীমান্ত শিখা ক্লাব। দেবদেবীকে সঙ্গে নিয়ে দুর্গার ওই আবির্ভাবের দৃশ্য ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী ভোলা পাল। দক্ষিণ ভারতের মীনাক্ষী মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। থার্মোকলের সাহায্যে তৈরি বিভিন্ন মডেল তৈরি করে পৌরাণিক দৃশ্য তুলে ধরার পরিকল্পনা হয়েছে।
|
দেবী প্রতিমার মাথার উপরে শিবগঙ্গা। দু’পাশে দুই পরী। কলা বউ রাখা হয় কার্তিকের পাশে। একচালায় এ রকমই দর্শনীয় প্রতিমা হয় মালদহের সামসি দুর্গাতলা সর্বজনীন দুর্গোৎসবের ২০০ বছরের পুরনো পুজোয়। ওই পুজো স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেছিলেন চাঁচলের রাজা শরচ্চন্দ্র। পুজো এখন সর্বজনীন হলেও পুরনো ঐতিহ্যের বদল হয়নি।
|
পুজোর আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জ ব্লকের নথিভুক্ত বিড়ি শ্রমিকদের এককালীন ৫০০ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে। বিডিও বিমলকৃষ্ণ সাহা জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত সমিতির তহবিল থেকে পুজো অনুদান হিসাবে ব্লকের তিন শতাধিক বিড়ি শ্রমিককে ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে।
|