নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
এ দিন পুরসভার তরফে বাস্তুকারদের একটি দল শহরের বিভিন্ন এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলির একাংশ পরীক্ষা করেন। আশ্রমপাড়ায় একটি ৪ তলা ভবনের নিচ তলার কংক্রিটের স্তম্ভ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান। ওই ভবনটিতে বসবাস করা বিপজ্জনক বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার তরফে। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি দলও এ দিন ওই ভবনটি পরীক্ষা করে বিপজ্জনক বলে জানায়। তবে শিলিগুড়ি শহর, মহকুমার অন্যান্য এলাকায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন, স্কুল, হাসপাতাল কোথায় ঠিক কী অবস্থায় রয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কোনও স্পষ্ট তথ্য সংগ্রহ হয়নি। কোনটা বিপজ্জনক, কোনটির ক্ষেত্রে ভয়ের কিছু নেই সে ব্যাপারেও সামগ্রিক খবর সম্পূর্ণ সংগ্রহ হয়নি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী অবশ্য বলেন, “ব্লক প্রশাসনের তরফে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোথায় কত ঘর বাড়ি, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্কুল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। কোথাও তেমন কিছু হয়েছে খবর পেলে আমি নিজেও যাচ্ছি। |
অভিজ্ঞ বাস্তুকারদের পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা খতিয়ে দেখে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু ভবন বিপজ্জনক বলে জানিয়েছেন। যেখানে ভয়ের কারণ নেই তাও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।” শিলিগুড়ির এসডিও সৌরভ পাহাড়ি বলেন, “বিডিওরা ব্লকের বাস্তুকারদের দিয়ে তাঁদের এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির তথ্য ইতিমধ্যেই পাঠাচ্ছেন। সে সব তথ্য জেলাশাসককে পাঠানো হচ্ছে।” এ দিন ডাবগ্রাম ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজফাপড়ি এলাকায় যান মন্ত্রী। সেখানে সঞ্জয় রায়, খড়কা বাহাদুর থাপারা জানান, ভূমিকম্পে তাঁদের অনেকের বাড়ির কূয়ো রিং ভেঙে নষ্ট হয়েছে গিয়েছে। কারো বাড়ির দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “জিওটেকনিক্যাল এবং স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরীক্ষা করানো দরকার। পুরসভার তরফে টিম করে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের কথা বলা হচ্ছে অথচ আমরা কিছুই জানতে পারছি না।” মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত জানিয়েছেন, পুরসভার স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা বিভিন্ন বাড়ি পরীক্ষা করে দেখছেন। কোথাও কোনও বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুরসভাকে জানাতে বলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের একটি বিশেষজ্ঞ দল এ দিন শহরের অনেক বাড়ি খতিয়ে দেখেছেন। উচ্চ মানের সমীক্ষার জন্যও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। |