|
|
|
|
বার্ড ফ্লু’র ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি শুরু |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তেহট্ট |
নদিয়ার তেহট্টে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত এলাকায় হাঁস-মুরগি নিধনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হল ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি। এ দিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তেহট্ট এসেছিলেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তেহট্ট মহকুমাশাসকের দফতরে বেতাই ও পুঁটিমারি এলাকার ১৭ জন গ্রামবাসীর হাতে ক্ষতিপূরণের টাকা তুলে দেন মন্ত্রী।
এত দ্রুত যে ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পেয়ে যাবেন, ভাবতে পারেননি গ্রামবাসীরা। পুঁটিমারি গ্রামের সুমিত্রা মণ্ডল তাই বলছেন,‘‘গত বার বার্ড ফ্লু’র সময় আমার পঞ্চাশটা মুরগি মারা হয়েছিল। আজও সেই ক্ষতিপূরণের টাকা হাতে পাইনি। ভেবেছিলাম, এ বারও পাব না।’’ তবে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও তাঁদের নতুন করে মুরগি পালনের আশা মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিন বছর আগে, ২০০৮ সালে বার্ড ফ্লু’র সময়ে মুরগি-মড়কের ধাক্কা এখনও সামাল দিয়েই উঠতে পারেননি বহু গ্রামবাসী। পুজোর মুখে তাই নতুন করে মুরগি-নিধন শুরু হওয়ায় আশঙ্কার মেঘ জমেছে তেহট্টের গ্রামগুলিতে। |
|
নিধনের পরে মুরগিগুলি ফেলা হবে এই গর্তে। তেহট্টে এসে সরেজমিনে
তাই খতিয়ে দেখলেন প্রতিমন্ত্রী মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। ছবি: কল্লোল প্রামাণিক। |
বেতাই কিংবা পুঁটিমারি গ্রামের পোলট্রি মালিকদের আক্ষেপ, ‘‘পুজোয় বাজার চাঙ্গা হওয়ার কথা ছিল। মড়ক এবং সরকারি কর্মীদের নিধন-যজ্ঞে সে আশায় ছাই পড়ে গেল!” বেতাই ও তেহট্ট এলাকায় অন্তত ৫০টি পোলট্রি ফার্ম রয়েছে। বুধবার পর্যন্ত ওই এলাকার বাড়ি ও ফার্ম মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার মুরগি নিধন করা হয়েছে। স্থানীয় পোলট্রি ফার্মের মালিক সুভাষ বিশ্বাস বলেন, ‘‘তিন বছর আগে বার্ড ফ্লু’র পরে পথে বসেছিলাম। পুজোর মুখে এ বারও একই আতঙ্ক ফিরে এল। আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের এরপরে মাথা তুলে দাঁড়ানোই মুশকিল হবে।’’ অন্য এক পোলট্রি ফার্ম মালিক ভবেন্দু ঘোষের কথায়, ‘‘বছরভর আমরা পুজোর বাজারের দিকে তাকিয়ে থাকি। ঈদের পর থেকে কালীপুজো পর্যন্ত বছরের সেরা বিক্রিবাট্টা হয়। সব শেষ হয়ে গেল!’’ তেহট্টের মহকুমাশাসক অচিন্ত্যকুমার মণ্ডল জানান, বুধবার পর্যন্ত যাদের হাঁস মুরগি নিধন করা হয়েছে তাদের টাকা দেওয়া হবে আজ, শুক্রবার বেতাই বি.আর.অম্বেডকর কলেজ ও তরনীপুর এলাকায় দুটি ক্যাম্পে। |
|
|
|
|
|