|
|
|
|
শঙ্খগ্রামে এ বার সোনার মন্দির |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমকল |
সুদূর পঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে ডোমকলের বাজিতপুরের বুড়ি মা তলার মণ্ডপ।
চন্দননগরের আলোর মায়া তাকে সত্যিই স্বর্ণমন্দিরেই পরিণত করবে বলে দাবি করছেন উদ্যোক্তারা। এলাকার মানুষেরও বিশ্বাস, এ বার এই স্বর্ণমন্দির সত্যিই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে। উদ্যোক্তাদের দাবি, কেবল ডোমকল মহকুমাই নয়, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের অন্যত্র থেকেও বহু দর্শনার্থী ভিড় করবেন এই পুজো মণ্ডপে। সে কথা মাথায় রেখে গ্রামের সংস্কার এবং প্রবেশ-প্রস্থান দ্বারও তৈরি করছে বুড়ি মা তলার পুজো কমিটি। এই গ্রামটি সাধারণত শাঁখার গ্রাম বলে বিখ্যাত। সেই গ্রামই এ বার সোনার গ্রামে পরিণত হচ্ছে।
বেশ কয়েক বছর ধরে থিমের ভাবনা বুড়ি মা তলার মন্দির কমিটির মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এর আগেও শঙ্খ ও কাচের শিশি ব্যবহার করে চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ তৈরি করেছে এই পুজো কমিটি। আয়লা, সুনামি বা বোমা বিস্ফোরণের মতো সাম্প্রতিক ঘটনার চিত্রও ঠাঁই পেয়েছে মূল মণ্ডপের সামনে। তাই এই পুজো এমনিতেই বেশ বিখ্যাত। তবে এ বার স্বর্ণমন্দিরের মতো মণ্ডপ তৈরি করার পরে আর সামনের মাঠে নতুন কোনও আয়োজন হচ্ছে না।
পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ অমল সাহা বলেন, “এ বার মূল মণ্ডপের খরচ অনেক বেশি। তাই বাধ্য হয়েই মণ্ডপ ছাড়াও আনুষাঙ্গিক যে সব সজ্জা থাকে প্রতি বছর, তা এ বার আর হবে না। তবে দর্শনার্থীদের বাড়তি পাওনা চন্দননগরের আলো।”
গোটা বাজিতপুরই এই পুজো নিয়ে মেতেছে। গ্রামের এক বাসিন্দা প্রদীপ সাহা বলেন, “এ বার মহকুমার সেরা পুজোর লড়াইয়ে যে আমরাই থাকব, আর তা করতে যা যা করা দরকার, সবটাই করতে রাজি আছি আমরা।” যে কারণে গ্রামের ছেলেরা মণ্ডপ তৈরির শ্রমিকদের সঙ্গে হাত মেলাচ্ছেন সব আয়োজনই সুন্দর করে তুলতে। বর্ধিষ্ণু গ্রাম বাজিতপুর বিশেষ করে শাঁখ শিল্পের জন্যই আর্থিক ভাবে সচ্ছল। ফলে বড় বাজেটের পুজোও এই গ্রামের মানুষ করতে পারেন। যদিও এই পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিৎ সান্যাল বলেন, “টাকাটা বড় কথা নয়। গোটা গ্রামের মানুষের সদিচ্ছা রয়েছে বলেই একটা গ্রামের উপরে দাঁড়িয়ে এত বড় বাজেটের পুজো করতে পারছি আমরা। তাই দু’লক্ষ টাকার বাজেটে ৫০ ফুট উঁচু মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে। এখন থেকেই মানুষ দেখতে আসছেন আমাদের মণ্ডপ।” |
|
|
|
|
|